বৈশাখ আসলেই বাঙালীপণা উসকে উঠে।পূর্বে বৈশাখ আনন্দের স্বাদ হলেও ইদানীং হয়ে উঠছে বিস্বাদের কারণও বটে!!!!পূর্বে "বৈশাখ" মানেই আমেজ আমেজ ভাব তৈরি হতো নিদারুণ আনন্দের সহিত কিন্তু ইদানীং ঘটছে তার উল্টো!!!!যেমন বৈশাখে অনেক কিছুতে দামের "ছাড়" দিলেও ইলিশ মাছের দাম ঠিক তার উল্টো।আসলে বৈশাখী উৎসবটা কৃষকদের ঘিরেই। যেহেতু আমাদের দেশ কৃষি প্রধান।কিন্তু ইদানীং হয়ে যাচ্ছে বিলাসিতার উৎসব।হুট করেই কৃষকরা বৈশাখের আমেজে মাততে পারে না।অনেক হিসেব নিকেশের ব্যাপার।বর্তমানে কৃষকেদের নাজেহাল অবস্থা।সার,পানির পাম্পের তেলের দাম বাড়লেও তাদের খরচ অনুযায়ী কৃষিকাজ করে লাভবান হতে পারছে না।আর ইলিশ খাওয়া সেটা অনেক উঁচু বিষয়।উঁচু দামে উঁচু মানের উৎসব বলতে যা বুঝায় আরকি।বিষাদময় তিক্ততা জমায় ইদানীং কৃষকদের মনে।নুন আনতেই পান্তা ফুরানোর মতো।
আমেজের মজমায় মাততে উঁচা তলা লোকদের বিলাসিতা চোখ পরার মতো।মাততে রাজি,মানিয়া নিতে নারাজই বটে!!!!বৈশাখ মানেই একসঙ্গে বাঙালীপণায় জেগে উঠা।সুখ,দুঃখ ভাগাভাগি করে মিলেমিশে থাকা।
যে দেশের ইলিশ জাতীয় মাছ সে দেশের মানুষেরাই ইলিশ খেতে পারে না।বিষয়টা হাস্যকরই বটে।বিদেশী টাকার ধান্ধায় রপ্তানি করা হয়।যদিও মেনে করা যেতো আমরা যদি সেই টাকায় ভালো কিছু আশা করতে পারতাম।দেশ জোচ্চুরিতাময়ে ভরপুর ।।
যেই দেশে নুন আনতেই পান্তা ফুরাই সেই দেশের মানুষের ফু-টাঙ্গী কিনা বেশী।অন্য দেশকে হুজুর হুজুর করতে হয়।সেই দেশে মানুষের প্রাইভেট-কারের বিলাসিতা বেশি।কেমনে মানায়,কেমনে মানিয়ে নেয় বোধগম্যে আসে না।
এখন কৃষকদের কাছে ইলিশ মাছ তো আকাশের চাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে আর বৈশাখী উৎসব!!!!তারপরেও তাদের কমতি নেই এই উৎসবে মাততে।কমতি আছে মানুষের মনোভাবে।
পান্তা ইলিশ খেলে কিংবা গ্রামীণ সাজে পোশাক পড়লেই ভাঙালীর ঐতিহ্যকে বহন করা যায় না।বাঙালীপণা ধারণ করতে হয় মনে,চিন্তাজগতে,বহিঃপ্রকাশে।
সারাবছর পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুরসণ করে... ১হাজার টাকা দিয়ে ঘটি বাটিতে পান্তা ইলিশ খেয়ে একদিনের বাঙালী সেজে ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলাও যায় না ।ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলতে হলে বাঙালির জবেই জবে বাঙালীকে উপস্থাপন করত হবে বিশ্বে।ঐতিহ্যকে ঐশ্বর্যপূর্ণ করে তুলে ধরতে হবে ঐতিহাসিক ভাবে।একদিনের "নুন আনতেই পান্তা ফুরানো" বাঙালী না সেজে "নুন আনতে পান্তা ফুরানো" মনোভাব নিয়ে কিছু করে দেখাতে উদ্ধত হতে হবে ।।।