পদার্থবিদ্যার ভাষায়,একটি পদার্থের চিহ্নযোগ্য অবস্থাকেই পদার্থের অবস্থা বলা হয়।আমরা আমাদের রোজকার জীবনে পদার্থের ৩ ধরনের অবস্থা দেখে থাকি: কঠিন,তরল, গ্যাসীয়। এছাড়াও আরও কিছু অবস্থা আছে, যা কেবলমাত্র চরম পরিস্থিতিতেই পাওয়া যায়। যেমন বোস আইনস্টাইন কনডেনসেট, নিউট্রন ডিজেনারেট ম্যাটার এবং কোয়ার্ক গ্লুওন প্লাজমা, যেগুলো যথাক্রমে চরম নিম্ন তাপমাত্রা, চরম ঘনত্ব এবং চরম উচ্চশক্তির কোল্ড চার্জড পদার্থের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। আরও কিছু অবস্থা আছে বলে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, কিন্তু সেগুলো এখন পর্যন্ত তত্ত্বেই সীমাবদ্ধ আছে। পদার্থের সকল এক্সটিক অবস্থার সম্পূর্ণ তালিকার জন্য পদার্থের অবস্থাসমূহের তালিকা দেখুন।
পদার্থের এমন পৃথকীকরণ তাদের স্বধর্মের গুনগত পার্থক্যের উপর ভিক্তি করেই তৈরী করা হচ্ছে। কঠিন অবস্থায় পদার্থের একটি নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে।পদার্থ গঠনকারী কণাগুলো (অণু, পরমাণু অথবা আয়ন) কাছাকাছি অবস্থান করে এবং একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে।তরল অবস্থায় পদার্থের একটি নির্দিষ্ট আয়তন থাকে,কিন্তু আকার নির্দিষ্ট হয়না।এ কারণে এরা ধারণকারী পাত্রটির আকার ধারণ করতে পারে।এর গঠনকারী কণাগুলো কাছাকাছি থাকে কিন্তু মুক্তভাবে বিচরণ করতে পারে। গ্যাসীয় অবস্থায় পদার্থের কোন নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকেনা, আর সেজন্য এটি ধারক পাত্রের আকার ও আয়তন ধারণ করতে পারে।গঠনকারী কণাগুলো কাছাকাছিও থাকেনা, আবার একটি নির্দিষ্ট অবস্থানেও থাকেনা।প্লাজমা অবস্থায় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকেনা কিন্তু চার্জবিহীন পরমাণুর মত এর নির্দিষ্ট পরিমান আয়ন আর ইলেকট্রন থাকে। এরা উভয়েই মুক্তভাবে বিচরণ করতে পারে।প্লাজমা দৃশ্য পদার্থগুলোর সবচেয়ে সাধারণ রূপ।[১]