You can also earn money by answering questions on this site Find out the details

Categories

Sister Links: -- Nishiddho--BDLove24--Cerapatabd ....
144 views
in সাধারণ by (-14 points)

1 Answer

0 like 0 dislike
শব্দ হলো অর্থবোধক ধ্বনিসমষ্টি, যা বাক্য গঠ‌নের মূল উপাদান। শব্দ একাধিক বর্ণ ও অক্ষর সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে ।
শব্দের শ্রেণিবিন্যাস

শব্দ‌কে ব্যুৎপত্তি, গঠন ও অর্থ অনুসা‌রে বি‌ভিন্ন ভাগে ভাগ করা হ‌য়ে থা‌কে ।
উৎপত্তিগত

বাংলা ভাষার শব্দকে উৎপত্তিগত দিক দিয়ে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ ভাগগুলো হলো : তৎসম শব্দ, অর্ধ-তৎসম শব্দ, তদ্ভব শব্দ, দেশি শব্দ ও বিদেশি শব্দ।
তৎসম শব্দ

সংস্কৃত ভাষার যে-সব শব্দ অপরিবর্তিত রূপে সরাসরি বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সে সব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। উদাহরণঃ- চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য, মস্তক, অন্ন, গৃহ, চরণ, তৃণ, অগ্রহায়ণ,ভাষা ইত্যাদি
অর্ধ-তৎসম শব্দ:

যে-সব সংস্কৃত শব্দ কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সেগুলোকে বলা হয় অর্ধ-তৎসম শব্দ। যেমনঃ জ্যোৎস্না˂>জ্যোছনা, শ্রাদ্ধ >ছেরাদ্দ, গৃহিণী˂>গিন্নী, বৈষ্ণব˂>বোষ্টম, কুৎসিত >কুচ্ছিত।
তদ্ভব শব্দ

বাংলা ভাষা গঠনের সময় প্রাকৃত বা অপভ্রংশ থেকে যে সব শব্দ পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছিলো, সেগুলোকেই বলা হয় তদ্ভব শব্দ। অবশ্য, তদ্ভব শব্দের মূল অবশ্যই সংস্কৃত ভাষায় থাকতে হবে। যেমন- সংস্কৃত ‘হস্ত’ শব্দটি প্রাকৃততে ‘হত্থ’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আর বাংলায় এসে সেটা আরো সহজ হতে গিয়ে হয়ে গেছে ‘হাত’। তেমনি, চর্মকার˂>চম্মআর˂ >চামার,
দেশি শব্দ

বর্তমান বাংলা ভাষাভাষীদের ভূখণ্ডে অনেক আদিকাল থেকে যারা বাস করতো সেইসব আদিবাসীদের ভাষার যে সকল শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সে সব শব্দকে বলা হয় দেশি শব্দ। এই আদিবাসীদের মধ্যে আছে - কোল, মুণ্ডা, ভীম, খোকা,চাঁঁপা,কুলা,গঞ্জ,ডাব,ডাগর, টোপল ইত্যাদি। দেশী শব্দের উদাহরণ কুড়ি (বিশ) - কোলভাষা, পেট (উদর) - তামিল ভাষা, চুলা (উনুন) - মুণ্ডারী ভাষা।
বিদেশি শব্দ

বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা অন্য ভাষাভাষীর মানুষের সংস্পর্শে এসে তাদের ভাষা থেকে যে সব শব্দ গ্রহণ করেছে, বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডারে অন্য ভাষার শব্দ গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বলা হয় বিদেশি শব্দ। যে কোনো ভাষার সমৃদ্ধির জন্য বিদেশি শব্দের আত্মীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এদিক দিয়ে বাংলা ভাষা বেশ উদারও বটে।

    আরবি শব্দ : বাংলায় ব্যবহৃত আরবি শব্দসমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:—

(১) ধর্মসংক্রান্ত শব্দ: আল্লাহ, ইসলাম, ঈমান, অজু, কোরবানি, কুরআন, কিয়ামত, গোসল, জান্নাত, জাহান্নাম, তওবা, তাসবি, জাকাত, হজ, হাদিস, হারাম, হালাল ইত্যাদি।

(২) প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক শব্দ: আদালত, আলেম, ইনসান, ঈদ, উকিল, ওজর, এজলাস, এলেম, কানুন, কলম, কিতাব, কেচ্ছা, খারিজ, গায়েব, দোয়াত, নগদ, বাকি, মহকুমা, মুন্সেফ, মোক্তার, রায় ইত্যাদি।

    ফারসি শব্দ : বাংলায় ব্যবহৃত ফারসি শব্দগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:—

(১) ধর্মসংক্রান্ত শব্দ: খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা ইত্যাদি।

(২) প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক শব্দ: কারখানা, চশমা, জবানবন্দি, তারিখ, তোশক, দফতর, দরবার, দোকান, দস্তখত, দৌলত, নালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর, রসদ ইত্যাদি।

(৩) বিবিধ শব্দ: আদমি, আমদানি, জানোয়ার, জিন্দা, নমুনা, বদমাস, রফতানি, হাঙ্গামা ইত্যাদি।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি শব্দগুলোর মধ্যে ফারসি শব্দই সবচেয়ে বেশি।

    ইংরেজি শব্দ : দুই প্রকারের পাওয়া যায়:—

(১) প্রায় অপরিবর্তিত উচ্চারণে- চেয়ার, টেবিল, পেন, পেন্সিল, ইউনিভার্সিটি, ইউনিয়ন, কলেজ, টিন, নভেল, নোট, নোট, পাউডার, ব্যাগ, ফুটবল, মাস্টার, লাইব্রেরি, স্কুল, ব্যাংক ইত্যাদি।

(২) পরিবর্তিত উচ্চারণে - আফিম (opium), স্কুল (school), বাক্স (box), হাসপাতাল (hospital), বোতল (bottle), ডাক্তার (doctor), ইংরেজি (English) ইত্যাদি।

    পর্তুগিজ শব্দ : আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি ৷
    ফরাসি শব্দ : কার্তুজ, কুপন , ডিপো, রেস্তোরাঁ।
    ওলন্দাজ শব্দ : ইস্কাপন, টেক্কা, তুরুপ, রুইতন, হরতন (তাসের নাম) ৷
    গুজরাটি শব্দ : খদ্দর, হরতাল ৷
    পাঞ্জাবি শব্দ : চাহিদা, শিখ
    তুর্কি শব্দ : চাকর, চাকু, তোপ, দারোগা, বাবা৷
    চীনা শব্দ : চা, চিনি, লুচি, সাম্পান।
    মায়ানমার/ বর্মি শব্দ : ফুঙ্গি, লুঙ্গি
    জাপানি শব্দ : রিক্সা, হারাকিরি, সুনামি, ইমোজি৷
    হিন্দী শব্দ : চিঠি, ঠিকানা, পানি ইত্যাদি।
    মিশ্র শব্দ:

এ ছাড়াও আরেকটি বিশেষ ধরনের শব্দ আছে। দুইটি ভিন্ন ধরনের শব্দ সমাসবদ্ধ হয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে একত্রিত হলে ওই নতুন শব্দটিকে বলা হয় মিশ্র শব্দ। এক্ষেত্রে যে দুইটি শব্দ মিলিত হলো, তাদের শ্রেণিবিভাগ চিনতে পারাটা খুব জরুরি। যেমনঃ
রাজা-বাদশা (তৎসম+ফারসি),
হাটবাজার (বাংলা+ফারসি),
হেড-মৌলভি (ইংরেজি+ফারসি),
হেড-পণ্ডিত (ইংরেজি+তৎসম),
খ্রিষ্টাব্দ (ইংরেজি+তৎসম),
ডাক্তারখানা (ইংরেজি+ফারসি),
পকেটমার (ইংরেজি+বাংলা)।
গঠন অনুসারে শ্রেণিবিভাগ

গঠন অনুসারে শব্দকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ (ক) মৌলিক শব্দ এবং (খ) সাধিত শব্দ
মৌলিক শব্দ

যে -সব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আর কোন শব্দ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। অর্থাৎ, যে সব শব্দকে ভাঙলে আর কোন অর্থসঙ্গতিপূর্ণ শব্দ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমনঃ গোলাপ, নাক, লাল, তিন, ইত্যাদি।

এই শব্দগুলোকে আর ভাঙা যায় না, বা বিশ্লেষণ করা যায় না। আর যদি ভেঙে নতুন শব্দ পাওয়াও যায়, তার সঙ্গে শব্দটির কোন অর্থসঙ্গতি থাকে না। যেমন, উদাহরণের গোলাপ শব্দটি ভাঙলে গোল শব্দটি পাওয়া যায়। কিন্তু গোলাপ শব্দটি গোল শব্দ থেকে গঠিত হয়নি। এই দুটি শব্দের মাঝে কোন অর্থসংগতি নেই। তেমনি নাক ভেঙে না বানানো গেলেও নাক না থেকে আসেনি। অর্থাৎ, এই শব্দগুলোই মৌলিক শব্দ। ‘গোলাপ’ শব্দটির সঙ্গে ‘ই’ প্রত্যয় যোগ করে আমরা ‘গোলাপী’ শব্দটি বানাতে পারি। তেমনি ‘নাক’-র সঙ্গে ‘ফুল’ শব্দটি যোগ করে আমরা ‘নাকফুল’ শব্দটি গঠন করতে পারি।
সাধিত শব্দ

যে সব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে অর্থসঙ্গতিপূর্ণ ভিন্ন একটি শব্দ পাওয়া যায়, তাদেরকে সাধিত শব্দ বলে। মূলত, মৌলিক শব্দ থেকেই বিভিন্ন ব্যাকরণসিদ্ধ প্রক্রিয়ায় সাধিত শব্দ গঠিত হয়।

মৌলিক শব্দ সমাসবদ্ধ হয়ে কিংবা প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হয়ে সাধিত শব্দ গঠিত হয়। যেমনঃ • সমাসবদ্ধ হয়ে - চাঁদের মত মুখ = চাঁদমুখ • প্রত্যয় সাধিত - ডুব+উরি = ডুবুরি • উপসর্গযোগে - প্র+শাসন = প্রশাসন
অর্থমূলক শ্রেণিবিভাগ

অর্থগতভাবে শব্দসমূহকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়:
যৌগিক শব্দ

যে-সব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই, তাদের যৌগিক শব্দ বলে। অর্থাৎ, শব্দগঠনের প্রক্রিয়ায় যাদের অর্থ পরিবর্তিত হয় না, তাদেরকে যৌগিক শব্দ বলে।

যেমনঃ

গায়কের কর্তব্য বাবুয়ানা ঢঙে মধুর সুরে দৌহিত্রকে চিকামারা গান শোনানো।
মূল শব্দ শব্দ গঠন (অর্থ) অর্থ
গায়ক=গৈ+অক- গান করে যে।
কর্তব্য=কৃ+তব্য- যা করা উচিত।
বাবুয়ানা=বাবু+আনা- বাবুর ভাব।
মধুর=মধু+র- মধুর মতো মিষ্টি গুণযুক্ত।
দৌহিত্র=দুহিতা+ষ্ণ্য- (দুহিতা= মেয়ে, ষ্ণ্য= পুত্র) কন্যার পুত্র, নাতি।
চিকামারা=চিকা+মারা- দেওয়ালের লিখন।
রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ

যেসব শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় জাত অর্থ এবং ব্যবহারিক অর্থ পৃথক হয় বরং লোক প্রচলিত অর্থ ব্যবহারিক অর্থ হিসেবে প্রকাশ পায় তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে। প্রচলিত অর্থই রূঢ়ি অর্থ।

যেমনঃ

প্রবীণ ব্যক্তি হস্তীতে চড়ে তৈল নিয়ে গবেষণা করে সন্দেশ বানিয়ে বাঁশি বাজায়।
হস্তী=হস্ত+ইন,(হাত আছে যার;গঠনগত অর্থ) কিন্তু হস্তী বলতে একটি পশুকে বোঝায়।
গবেষণা=গো+এষণা (গো=গরু, এষণা=খোঁজা) ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
বাঁশি=বাঁশ+ইন,(বাঁশ দিয়ে তৈরি) বাঁশের তৈরি বিশেষ বাদ্যযন্ত্র।
তৈল=তিল+ষ্ণ্য, (তিল থেকে তৈরি স্নেহ পদার্থ) উদ্ভিদ থেকে তৈরি যে কোন স্নেহ পদার্থ।
প্রবীণ=প্র+বীণা (প্রকৃষ্টরূপে বীণা বাজায় যিনি) অভিজ্ঞ বয়স্ক ব্যক্তি।
সন্দেশ=সম+দেশ (সংবাদ) মিষ্টান্ন বিশেষ
যোগরূঢ় শব্দ

যে সব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ আর ব্যবহারিক অর্থ সম্পূর্ন পৃথক নয়,বরং ব‍্যুৎপত্তিগত অর্থ কে অনুসরন করে ব‍্যবহারিক অর্থ প্রকাশিত হয় , তাকে যোগরূঢ় শব্দ বলে।

অথবা, সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অনুগামী না হয়ে কোনো বিশিষ্ট অর্থ গ্রহণ করে, তাদের যোগরূঢ় শব্দ বলে। প্রসিদ্ধ অর্থই যোগরূঢ় অর্থ। যেমনঃ

পঙ্কজ-পঙ্কে জন্মে যা (পদ্মফুল)
রাজপুত-রাজার পুত্র, (ভারতের একটি জাতি বিশেষ)
মহাযাত্রা-মহাসমারোহে যাত্রা (মৃত্যু)
জলধি-জল ধারণ করে যা/এমন (সাগর)
নবসৃষ্ট বা পরিশব্দ বা পারিভাষিক শব্দ

বিভিন্ন বিদেশি শব্দের অনুকরণে ভাবানুবাদমূলক যেসব প্রতিশব্দ সৃষ্টি করা হয়েছে, সেগুলোকে নবসৃষ্ট বা পরিশব্দ বা পারিভাষিক শব্দ বলে। মূলত প্রচলিত বিদেশি শব্দেরই এরকম পারিভাষিক শব্দ তৈরি করা হয়েছে।

যেমনঃ

পারিভাষিক শব্দ মূল বিদেশি শব্দ পারিভাষিক শব্দ মূল বিদেশি শব্দ
অম্লজান - Oxygen
সচিব - Secretary
উদযান -Hydrogen
স্নাতক - Graduate
নথি - File
স্নাতকোত্তর - Post Graduate
প্রশিক্ষণ -Training
সমাপ্তি - Final
ব্যবস্থাপক - Manager
সাময়িকী - Periodical
বেতার - Radio
সমীকরণ - Equation
by Earnings : 7.67 Usd (6,722 points)

Related questions

-- Payment Method & Thresholds--Referral Program--Help--
-- FAQ --- Terms --DMCA ---Contact Us --
Language Version--English --Bengali ---Hindi ---
...