রিপন মারমা, রাঙামাটি : হাতি করলে সংরক্ষণ, রক্ষা পাবে সবুজ বন’ সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটি দক্ষিণ বনবিভাগের আয়োজনে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন সার্বিক সহযোগিতায় কাপ্তাইয়ে জাতীয় উদ্যানে শীলছড়ি বালুচর প্রশান্তি পার্কে বর্ণাঢ্য র্যালীর ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট)সকাল সাড়ে১০ টায় রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের উদ্যোগের এই দিবসটি পালন করা হয়।
কাপ্তাই দক্ষিণ বন বিভাগ কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ এর সঞ্চালনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব ছালেহ মোঃ শোয়াইব খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্রগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব আ. ন. ম আব্দুল ওয়াদুদ।
এসময় প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে মাধ্যমে বলেন, বন উজাড়ের ফলে এখানকার বন ও বনজ সম্পদের অপরিমিত ক্ষতি হচ্ছে। আর সে ক্ষতির মাসুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি বর্ষা মৌসুমে ঘটছে পাহাড়ধসের মত ভয়াবহ ঘটনা। হারাতে হয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। তবে এ ক্ষতি কাঠিয়ে উঠতে নতুন বনায়ন সৃষ্টি, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গেম রির্জাভ স্থাপন ও সুষ্ঠু বন ব্যবস্থাপনার মতো পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন।
হাতি স্থলজ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। একটা সময় পৃথিবীজুড়ে কয়েক প্রজাতির হাতির বিচরণ থাকলেও কমতে কমতে তা এখন নেমে এসেছে মাত্র চারটিতে। এর মধ্যে দুটি আবার বিলুপ্তপ্রায়। মানুষ হিসেবে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই জীব বৈচিত্র্য এবং বন রক্ষায় হাতিকে আমাদের প্রত্যেককেই বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে আসা উচিত।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন,৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, বাবুল, লোকমান আহমেদ, অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, হাতির আবাসস্থলের ওপর মানুষের সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় এখন যুক্ত হয়েছে হাতি। তাই মানুষকেই বিশালদেহী হাতির সবচেয়ে বড় শত্রু বলে দায়ী করছেন তারা।
শুধু বিপন্ন নয়, হাতি এখন অতিবিপন্ন প্রাণী। বন উজাড় করে ফেলার কারণেই হারিয়ে যাচ্ছে হাতি।’ সেসময় আরো উপষ্ঠিত ছিলেন, রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা,ও বন প্রহরী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সুশিল সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী প্রমুখ।
(আরএম/এসপি/আগস্ট ১২, ২০২২)