১৯০৭ সালের ৫ মার্চ জাপানের রাজধানী টোকিওর উত্তরে অবস্থিত নিগাতা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নিজের গড়া নাসিং হোমেই মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ১১২ বছর।
জাপানের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। স্বীকৃতি পাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুর সময় ওয়াতানাব পাঁচ সন্তান রেখে গেছেন। মৃত্যুর আগে এতদিন বেঁচে থাকার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, দীর্ঘজীবী হওয়ার গোপন সূত্র হলো ‘রাগান্বিত হওয়া যাবে না এবং সবসময় হাসিমুখে থাকা। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, কাস্টার্ড পুডিং আর আইসক্রিমের মতো মিষ্টান্নের প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল তার।
তার মৃত্যুর পর এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ইসাকু তোমোয়ে। তিনিও জাপানের নাগরিক। তার বয়স ১১০ বছর। তবে তিনিই যে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি তার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এখনো মেলেনি। এছাড়া বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক নারীটিও জাপানের। তার নাম কানে তানাকা। ওই বৃদ্ধার বয়স এখন ১১৭ বছর।