ট্রপোস্ফিয়ার ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু হয় এবং প্রায় ১১ কিলোমিটার উচ্চতায় ট্রপোপজ পর্যন্ত বিস্তৃত, যদিও আবহাওয়ার কারণে এই উচ্চতার তারতম্য ঘটে, যা মেরুতে প্রায় ৯ কিলোমিটার (৩০,০০০ ফুট) এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় প্রায় ১৮ কিলোমিটার (৫৯,০০০ ফুট)।[১] ট্রপোস্ফিয়ার সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয় ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপশক্তি দ্বারা, তাই সাধারণত ট্রপোমণ্ডলের সর্বনিম্ন অংশ উষ্ণ এবং উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা ৬.৫° সেন্টিগ্রেড/কি.মি. বা ১০০০ মিটার হারে কমতে থাকে। ফলে এই স্তরের ঊর্ধ্ব অংশে তাপমাত্রা অনেক কমে যায়।মূলত সমস্ত আবহাওয়ার উপাদান যেমন মেঘ ইত্যাদিসহ ট্রপোস্ফিয়ারবায়ুমণ্ডলের ভরের প্রায় ৮০% ধারণ করে।[২] ট্রপোপজ হচ্ছে ট্রপোস্ফিয়ারও স্ট্রাটোমণ্ডলের মধ্যে সীমারেখা সরূপ।
বায়ুমণ্ডলের এই স্তরের বায়ুতে প্রায় ৯০ শতাংশ ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প, কুয়াশা, মেঘ প্রভৃতি থাকায় এই স্তরে ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত, তুষারপাত প্রভৃতি ঘটনাগুলি ঘটতে দেখা যায়, এজন্য ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুমণ্ডলীয় এই স্তরকে ক্ষুব্ধমন্ডল বলে। এই স্তরে জলীয় বাষ্প ও এরোসলের 75% লক্ষ্য করা যায়। এই স্তরের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি এই স্তর থেকে যতই উপরের দিকে যাওয়া যায়, বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব ততই কমতে থাকে। আমরা ট্রপোস্ফিয়ার স্তরের বসবাস করি।[৩]
ট্রপোস্ফিয়ার শব্দটি গ্রীক শব্দ ট্রপোস (অর্থ পরিবর্তন বা ঘূর্ণায়মান) এবং স্পাইরা (অর্থ মন্ডল) থেকে এসেছে।