১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস গেমসে বাংলাদেশ প্রথম ক্রীড়াবিদ পাঠায়। তিন সদস্যের ওই দলে একমাত্র ক্রীড়াবিদ ছিলেন সাইদুর রহমান ডন। মার্চপাস্টে বাংলাদেশ দলের পতাকা বহন করেন তিনি। দলনেতা ছিলেন তৎকালীন জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভাপতি মেজর জেনারেল একেএস আবদুল ওয়াহেদ। ম্যানেজার ছিলেন খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আবদুর রহমান। ১৯৮৮ সালে সিউলে আট সদস্যের বাংলাদেশ দল অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ছয়জন ক্রীড়াবিদ ও দু’জন কর্মকর্তা।
দলনেতা জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ওবায়েদুল্লাহ খান। প্রতিনিধি বিওএ’র তৎকালীন মহাসচিব মরহুম ক্যাপ্টেন সিদ্দিক আহমেদ এবং অ্যাথলেট মরহুম শাহ আলম, মরহুম শাহজালাল মোবিন, মিলজার হোসেন, শাহান উদ্দিন চৌধুরী, সাঁতারু বজলুর রহমান ও আবদুস সালাম। ১৯৯২ বার্সেলোনা অলিম্পিকে আটজনের দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকা। ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসের স্বর্ণজয়ী শুটার আতিকুর রহমান।
কোচ আবদুল মান্নান। শুটার কাজী শাহানা পারভীন, স্প্রিন্টার গোলাম আম্বিয়া, শাহজালাল মোবিন, লংজাম্পার শাহান উদ্দিন চৌধুরী ও মেহেদী হাসান এবং সাঁতারু মোখলেছুর রহমান ছিলেন দলে। ১৯৯৬ সালে আটলান্টায় শতবর্ষ অলিম্পিক গেমসে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ দল অংশ নেয়। দলনেতা ছিলেন তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া সচিব এএসএম শাহজাহান, ম্যানেজার ক্রীড়া পরিষদের সচিব আখতার হোসেন খান। পর্যবেক্ষক হিসেবে গিয়েছিলেন ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক এনামুল হক, বিওএর তৎকালীন মহাসচিব বশির আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব জাফর ইমাম ও ক্যাপ্টেন সিদ্দিক আহমেদ। চার ক্রীড়াবিদ হলেন অ্যাথলেট বিমল চন্দ্র তরফদার, নিলুফার ইয়াসমিন, সাঁতারু কারার মিজানুর রহমান ও শুটার সাইফুল আলম রিংকি।
২০০০ সিডনি অলিম্পিকে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ দল পাঠানো হয়। দলনেতা ছিলেন বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। ম্যানেজার বিওএর বর্তমান উপমহাসচিব ইমতিয়াজ খান বাবুল। ক্রীড়াবিদ অ্যাথলেট মাহবুব আলম ও ফৌজিয়া হুদা জুঁই, সাঁতারু কারার সামাদুল ইসলাম ও ডলি আক্তার এবং শুটার সাবরিনা সুলতানা ও ফিরোজ হোসেন পাখি। তাদের সঙ্গে গিয়েছিলেন বিওএর তৎকালীন সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান প্রয়াত লে. জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এবং মহাসচিব প্রয়াত জাফর ইমাম।
২০০৪ অলিম্পিক গেমসের আসর বসে গ্রিসের এথেন্সে। পাঁচ ক্রীড়াবিদের সঙ্গে সমানসংখ্যক কর্মকর্তা গিয়েছিলেন সেবার। সেফ দ্য মিশন অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুস সালাম, ম্যানেজার রাজশাহী বিওএ ক্রীড়া সংস্থার মাহমুদ জামাল, হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শামসুল বারী, শুটিং ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদিকা আলেয়া ফেরদৌস ও চিকিৎসক ছিলেন মোহাম্মদ মাহমুদ। এথেন্সে বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদের পাঁচ সদস্য ছিলেন অ্যাথলেট শামসুদ্দিন, শামসুন্নাহার চুমকী, সাঁতারু ডলি আক্তার, জুয়েল আহমেদ এবং শুটার আসিফ হোসেন খান।
পতাকা বহনের কৃতিত্ব পান শুটার আসিফ। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে আসিফ ৫৮৭ স্কোর গড়ে ৪৭ জনের মধ্যে ৩৫তম হয়েছিলেন। ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে জুয়েল ২৪.৪৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে ৬৩তম হন ৮৬ জনের মধ্যে। সাঁতারু ডলি আক্তার ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে হিটে নিজ গ্র“পে প্রথম হয়েও ৭৫ জনের মধ্যে ৬১তম হন। ডলির টাইমিং ছিল ৩০.৭২ সেকেন্ড।