কমনওয়েলথ অব নেশন্স বা কমনওয়েলথ[৩] (ইংরেজি: Commonwealth of Nations) অতীতে ইংরেজ সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল এমন স্বাধীন জাতিসমূহ নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা।[৪] বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা দক্ষিণ এশিয়ার ৩টি দেশ বাংলাদেশ,ভারত ও পাকিস্তান সহ সর্বমোট ৫৬। সর্বশেষ সদস্য টোগো। এই সংস্থার সচিবালয় লন্ডনে অবস্থিত। ব্রিটেনই এর নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমনওয়েলথ অব নেশন্স গঠিত হয়।
সচিবালয়
মূল নিবন্ধ: কমনওয়েলথ সচিবালয়
কমনওয়েলথের প্রধান আন্তঃসরকার সম্বন্ধীয় সংস্থা হিসেবে কমনওয়েলথ সচিবালয় ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সদস্যভূক্ত দেশের সরকার ও দেশের মাঝে পরামর্শ এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এটি গঠিত হয়েছে। সদস্যভূক্ত সরকারের কাছে এটি সামগ্রীকভাবে দায়বদ্ধ। পর্যবেক্ষক হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করে থাকে।
মহাসচিব কমনওয়েলথ সম্মেলন, মন্ত্রীদের ঘিরে সভা আয়োজন, পরামর্শমূলক সভা, কারিগরী আলোচনার ব্যবস্থা নেন। সরকারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় কারিগরী সহাযোগিতাসহ কমনওয়েলথের মৌলিক রাজনৈতিক মূল্যের বিষয়েও সহায়তা করে থাকেন।
এর প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন মহাসচিব। চার বছর মেয়াদে তিনি সর্বাধিক দুইবার কমনওয়েলভূক্ত সরকার প্রধানদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। তাকে সহযোগিতা করে দুইজন উপ-মহাসচিব। বর্তমান মহাসচিব হিসেবে রয়েছেন প্যাটিসিয়া স্কটল্যান্ড। প্যাটিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রথম নারী মহাসচিব।তিনি ডোমিনিকা ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
প্রথম মহাসচিব ছিলেন কানাডার আর্নল্ড স্মিথ। এরপর গায়ানার স্যার শ্রীদাথ রামফাল, নাইজেরিয়ার এমেকা আনিয়াকু।