এলসিডি বা লিকুইড ক্রিষ্টাল ডিসপ্লে -
এটা মুলত একটি সমান ধরণের ডিসপ্লে যার ভিতর দিয়ে আলো প্রবাহিত হতে পারে বা আলোকে বাধা প্রদান করতে পারে। এই আলো প্রবেশ বা বাধা প্রদানের বিষয়টি কাজে লাগিয়ে এই ধরণের ডিসপ্লে তৈরী করা হয়। এর মাধ্যমে যে ছবি হয় তা উজ্জ্বল করতে পিছনে সাধারণত আলোর ব্যবস্থা থাকে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা এল ই ডি।
এল ই ডি বা লাইট ইমিটিং ডায়োড -
এটি একধরণের বাতি যা বিদ্যুত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আলো তৈরী করতে পারে। এল ই ডি সম্পর্কে জানতে আমাদের ইলেক্ট্রনিক্সে প্রকাশিত এল ই ডি বিষয়ক এই পোষ্টটি পড়তে পারেন।
তাহলে উপরের বিষয় থেকে আমরা জানলাম যে মুল পার্থক্য টা কোথায়। এর বাইরে আরও বিষয় আছে আর তা হলো -
১. এল ই ডি ডিসপ্লে থেকে এল সি ডি ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা কম
২. নির্মাণগত কৌশলের উৎকর্ষতার জন্য এল ই ডি ডিসপ্লে এল সি ডি ডিসপ্লের তুলনায় হালকা ও পাতলা
৩. এল ই ডি ডিসপ্লে এল সি ডি ডিসপ্লের তুলনায় বেশী কৌনিক অবস্থান থেকে দৃশ্যমান
৪. এল ই ডি ডিসপ্লে এল সি ডি ডিসপ্লের তুলনায় দামে বেশী
৫. এল ই ডি ডিসপ্লে এল সি ডি ডিসপ্লের তুলনায় স্থায়ীত্বকাল হিসাবে গড়ে বেশী
৬. এল ই ডি ডিসপ্লে এল সি ডি ডিসপ্লের তুলনায় বেশী কনট্রাষ্ট তৈরী করতে সক্ষম
৭. এল ই ডি ডিসপ্লে এল সি ডি ডিসপ্লের তুলনায় অধিক রঙ তৈরী করতে সক্ষম
৮. এল ই ডি ডিসপ্লে এল সি ডি ডিসপ্লের তুলনায় অধিক রিফ্রেশ রেটের (চলমান বস্তুর দৃশ্যমানতা অধিক সাবলীল)
৯. এল ই ডি ডিসপ্লে এল সি ডি ডিসপ্লের তুলনায় অধিক বিদ্যুত সাশ্রয়ী
১০. এল ই ডি ডিসপ্লে এল সি ডি ডিসপ্লের তুলনায় সাইজে বড় করে তৈরী করা সম্ভব
উপরে আমরা যা যা বললাম তা থেকে কি মনে হয়েছে আপনাদের? এল ই ডি ডিসপ্লে ও এল সি ডি ডিসপ্লে দুটো আলাদা জিনিস? মজা টা আসলে এখানেই - আসলে হলো এলসিডি এর পিছনে আলো দিতে যখন এল ই ডি ব্যবহার করা হয় তখন তা এল ই ডি ডিসপ্লে হয় আর যখন আলো দিতে অন্য আলোক উৎস (সাধারণত এনার্জী বাল্ব টাইপ) ব্যবহার করা হয় তখন তা এল সি ডি নামে থাকে।
বাজারে গিয়ে আর বিভ্রান্ত না হয়ে তাই আসুন স্ক্রীনের রেজুলেশনের দিকে মনোযোগ দেই। রেজুলেশন যত বেশী হবে ততবেশী উজ্জ্বল ছবি পাবেন কারণ এখনকার সব ডিসপ্লেতেই আসলে এল ই ডি টেকনোলজী ব্যবহার করা হয়।সেই সাথে এল ই ডি ফুল এ্যরে না সাইড এ্যরে সেটা জেনে নিন - ফুল এ্যরে টিতে বেশী উজ্জ্বল ছবি পাবেন। আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট অংশ খোলা আছে।