একটি কম্পিউটার ওয়ার্ম হল একটি স্বাধীন ম্যালঅয়্যার কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা নিজেকে নকল করতে পারে যাতে তা অন্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।[১] প্রায়শই এটি ছড়িয়ে পড়ার করার কাজে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এবং অন্য কম্পিউটারের নিরাপত্তা ব্যর্থতার সুযোগ নেয়। একটি কম্পিউটার ভাইরাসের মত এটিরও নিজেকে কোন প্রোগ্রামে যোগ করার প্রয়োজন হয় না।[২] এগুলো সবসময় নেটওয়ার্কের কিছু ক্ষতি করে এমনকি ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ খরচ করেও। কিন্তু ভাইরাস একটি কম্পিউটারের ফাইল নষ্ট করে বা আক্রান্ত করে।
অনেক ওয়ার্মই তৈরী করা হয়েছে ছড়িয়ে পড়ার জন্য এবং যেসব সিস্টেম দিয়ে তারা যায় সেগুলোর কোন পরিবর্তন সাধন করে না। তবে, মরিস ওয়ার্ম এবং মাইডুম দেখিয়েছে যে, এগুলো "পেলোড ফ্রি" নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এবং অন্যান্য অনুদ্দেশ্যিত ফলাফল তৈরী করতে পারে। একটি "পেলোড" হল কোড যা নকশা করা হয়েছে ছড়িয়ে পড়া ছাড়াও আরো বেশি কাজ করার জন্য - এটি হয়ত হোস্ট সিস্টেম থেকে ফাইল ডিলিট করতে পারে (এক্সপ্লোরজিপ ওয়ার্ম), ফাইলকে এনক্রিপ্ট করতে পারে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে ডকুমেন্ট পাঠাতে পারে। একটি খুবই সাধারণ পেলোড হল আক্রান্ত কম্পিউটারে একধরনের পিছনের দরজা তৈরী করা যাতে করে ওয়ার্ম প্রস্তুতকারক কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারেন। এধরনের মেশিনগুলোকে প্রায়শই ডাকা হয় বটনেট বলে এবং স্প্যাম প্রেরণকারীদের দ্বারা বহুল ব্যবহৃত যা তারা ইমেইলে পাঠায় (জাঙ্ক ইমেইল) অথবা তাদের ওয়েব ঠিকানা লুকানোর জন্য।[৩] ধারণা করা হয়, স্প্যামাররা এধরনের ওয়ার্মগুলো তৈরীতে অর্থ সহায়তা করে[৪][৫] এবং এমন ওয়ার্ম প্রস্তুতকারকদের ধরা হয়ে যারা আক্রান্ত আইপি ঠিকানা বিক্রয় করছে।[৬] অন্যান্যরা বিভিন্ন কোম্পানিকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে ডস আক্রমণের হুমকি দিয়ে।[৭]
অন্যান্য ম্যালঅয়্যার দ্বারাও পিছনের এই দরজা বা গোপন দরজা তৈরীর চমৎকার কাজটি হয়ে থাকে যাতে ওয়ার্মও রয়েছে। উদাহরণসরূপ ডুমজুস, যা মাইডুম কর্তৃক তৈরী করা গোপন দরজা দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ম্যালঅয়্যারের আরেকটি উদাহরণ হল রুটকিটের সুযোগ নেয়া এবং সনি/বিএমজি ডিআরএমের সফটওয়্যার দ্বারা ইনস্টল করা গোপন দরজা যা লক্ষাধিক লোক ব্যবহার করত সংঙ্গীত সিডির জন্য ২০০৫ সালের পূর্বে।[৮]