বর্তমানে আমাদের কায়িকশ্রম কমে যাওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বসে থাকার মত চাকরি ও শখ। এর বাইরে যানবাহন বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো রয়েছে। তবে স্বল্প আয়ের দেশগুলোয় এখনো মানুষকে শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় বা হেঁটে ও গণপরিবহনে যাতায়াত করতে হয়।
ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, ডব্লিউএইচও ২০২৫ সাল নাগাদ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা অর্জন করা সম্ভব হবে না।
গবেষণা নিবন্ধের নেতৃত্ব দেওয়া গবেষক রেজিনা গাথহোল্ড বলেছেন, বৈশ্বিক অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির মতো, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার কমছে না। সুস্থ থাকার জন্য যতখানি ব্যায়াম করা দরকার, প্রায় এক-চতুর্থাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তা করছেন না। যে অঞ্চলে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার বাড়ছে, সেখানে গণস্বাস্থ্য ও বিভিন্ন রোগ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উদ্বেগ বাড়ছে।
গবেষকেরা সরকারগুলোকে যথাযথ অবকাঠামো নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। খেলার জন্য মাঠ এবং হাঁটা ও সাইকেল চালানোর মতো সুযোগ তৈরির কথা বলেছেন।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মেলোডি ডিং বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে জীবনধারার পরিবর্তন হয় এবং অলস আচরণের ঝুঁকি বাড়ে। মানুষগুলোকে সক্রিয় রাখতে সরকার বাড়তি কিছু করতে পারে। গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি হাঁটা ও সাইকেল চালানোর সুব্যবস্থা করা উচিত।