তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধ (Turkish: İstiklâl Harbi, literally "Independence War" or Kurtuluş Savaşı, literally "Liberation War"; ১৯ মে ১৯১৯ – ২৪ জুলাই ১৯২৩) তুর্কি জাতীয়তাবাদী এবং মিত্রশক্তির পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে সংঘটিত হয়। এসময় পশ্চিমে গ্রীকদের সাথে, পূর্বে আর্মেনিয়ার সাথে, দক্ষিণে ফরাসিদের সাথে এবং ব্রিটেন ও ইটালির সাথে কনস্টান্টিনোপলে লড়াই হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর উসমানীয় সাম্রাজ্যকে বিভক্ত করা হয়েছিল।[৪৩][৪৪][৪৫]
আনাতোলিয়ায় মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি গঠন হওয়ার পর তুর্কি জাতীয় আন্দোলন উৎপত্তি লাভ করে। তুর্কি-আর্মেনীয়, ফরাসি-তুর্কি, গ্রীক-তুর্কি যুদ্ধ (এগুলোকে যথাক্রমে যুদ্ধের পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম রণাঙ্গন বলে অবিহিত করা হয়) শেষ হওয়ার পর সেভ্রেস চুক্তি বাতিল করা হয়ে ১৯২৩ সালের জুলাই মাসে লুসানের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মিত্রশক্তি আনাতোলিয়া ও পূর্ব থ্রেস ত্যাগ করে এবং গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯২৩ সালের ২৯ অক্টোবর এই প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়।
তুর্কি জাতীয় আন্দোলন প্রতিষ্ঠা, উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিভাগ ও উসমানীয় সালতানাতের বিলুপ্তির পর উসমানীয় যুগ ও সাম্রাজ্যের সমাপ্তি ঘটে এবং এরপর আতাতুর্কের সংস্কার সাধিত হয়। সাম্রাজ্যের স্থলে নতুন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে তুরস্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।