মিয়োসিস
যে বিভাজনে নিউক্লিয়াস পরপর দুইবার ও ক্রোমোজোম একবার করে বিভক্ত হয়ে মাতৃকোষের ক্রোমোজোমের অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম যুক্ত চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় তাকে মিয়োসিস বলে। উন্নত জীবের জনন মাতৃকোষে মায়োসিস হয়ে থাকে । দেহকোষে অথবা হ্যাপ্লয়েড কোষে মিয়োসিস হয়না ।
হ্যাপ্লয়েড (n) পুংজননকোষ ও স্ত্রী জননকোষের মিলনের ফলে সৃষ্ট জাইগােটটি ডিপ্লয়েড (2n)। এই জাইগােট মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে প্রথমে ভ্রুণ এবং শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ জীবে পরিণত হয়। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ জীবের প্রতিটি কোষেই ডিপ্লয়েড (2n) সংখ্যক ক্রোমােজোম থাকে। নিষেকের আগেই যদি জননকোষগুলােতে ক্রোমােজোমের সংখ্যা অর্ধেক না হয়ে যায় তবে নতুন সৃষ্ট জাইগােটে ক্রোমােজোম সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। যেহেতু ক্রোমােজোমই জীবের লক্ষণ নিয়ন্ত্রণকারী জিন বহন করে তাই ক্রোমােজোম সংখ্যা দ্বিগুণ হলে বংশধরদের মধ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটে যাবে। মিয়ােসিস হয় বলেই প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় টিকে থাকতে পারে।