প্রস্রাব করার পর পুরুষের শরীর ঝাঁকি দেয়, সেটা শরীরের একটা স্বাভাবিক কার্য। পুরুষের প্রস্রাবের পুরুষাঙ্গের দুই কাজ। ইউরিনেশন ও জননাঙ্গ । তাই প্রস্রাবের রাস্তার মাঝে একটা গেট বা ইউরেথ্রাল ভাল্ভ থাকে। যখন প্রস্রাব শেষ হয়,তখন ঐ ভাল্ভ ক্লোজ হয় এবং ইউরেথ্রাল অবশিষ্ট ইউরিনকে বের করতে পুরো শরীরের একটা মিনিমাম খিঁচুনি ভাব হয় ।
প্রস্রাবের বেগ থাকলে তখন বেশী হয় এমন। যা আমাদের অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একে “পোস্ট ইকচুরিশন কনভালশন” ও বলা হয়ে থাকে। যা শরীরেরর জন্য খুবি স্বাভাবিক মেকানিজম। এটাকে যদি কেউ রোগ বলে তাবিজ ব্যবসা করে তাকে জোচ্চুরি ছাড়া কিছু বলা যায় না।
প্রস্রাব করার সময় শরীরে হঠাৎ করে কিছু তাপমাত্রা বেরিয়ে যায়, আমাদের অভ্যন্তরীণ শরীর যেহেতু খুব সেনিসিটিভ সেহেতু এই সামান্য তাপমাত্রার তারতম্যও কাটিয়ে উঠতে হয়। আর তাই ঝাঁকুনি দেয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহ তাপমাত্রা সমতায় নিয়ে আসে।
খেয়াল করলে দেখবেন দাঁড়িয়ে, অতি দ্রুত প্রস্রাব করার সকয়ই কাঁপুনি হবে কিন্তু ধীরে ধীরে বসে প্রস্রাব করলে আর ঝাঁকুনি লাগবেনা কারন ধীরে প্রস্রাব করলে শরীর ততক্ষণে মানিয়ে নিতে পারে।