ওয়ার্ডপ্রেস সমগ্র বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ব্যবহৃত কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। প্রতিটি ওয়েবসাইট কি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি? না, ওয়েবসাইটগুলি তৈরির জন্য অন্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে ওয়েবসাইটগুলিও প্রোগ্রাম করা বা তৈরি করা যেতে পারে। তবে
১/ ওয়ার্ডপ্রেস সম্পূর্ণ ফ্রি: আপনি সরাসরি ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে পারবেন, ইচ্ছামত ব্যবহার বা মোডিফাই করতে পারবেন- কোনো টাকা লাগবে না। কেবল ডোমেইন আর হোস্টিং এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে।
২/ এটি জনপ্রিয়, প্রায় ৬০% মার্কেট শেয়ার ওয়ার্ডপ্রেসের দখলে:
3/ হাজার হাজার প্রফেশনাল থীম (ফ্রি এবং পেইড): ওয়ার্ডপ্রেসের থীম ডিরেক্টরিতে প্রায় ৪০০০+ ফ্রি থীম আছে। তাছাড়া অন্যান্য অনেক মার্কেটপ্লেস থেকে প্রিমিয়াম থীম কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেসের থীম ব্যবহার করা সহজ।
৪/ বিভিন্ন প্লাগিন ব্যবহার করে যেকোনো ফিচার যুক্ত করতে পারা যায় । আপনার ব্যবসার সুবিধার্থে অনেক কমপ্লেক্স ওয়েবসাইট স্ট্রাকচারও তৈরি করতে পারবেন। ইচ্ছামত ফিচার যুক্ত করতে সাহায্য করবে হাজার হাজার ফ্রি এবং প্রিমিয়াম প্লাগিন।
আপনি অনলাইন ই-কমার্স স্টোর বানাতে চান? এর জন্য রয়েছে Woocommerce প্লাগিন, অনলাইনে টিউটোরিয়াল বা কোর্স অফার করতে চান? এর জন্যে রয়েছে LifterLMS প্লাগিন। আপনার ওয়েবসাইটে কনটাক্ট ফর্ম তৈরি করতে চান? আছে Contact Form 7. একই ফিচার যুক্ত করার জন্য অনেকগুলো প্লাগিন রয়েছে, তাই সেগুলো থেকে পছন্দমত বেছে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। জটিল সব ফাংশনালিটি যুক্ত করতে পারবেন কোনো কোডি
৫/ ওয়ার্ডপ্রেস অনেক বেশি সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি:
গুগলের ইঞ্জিনিয়ার Matt Cutts এর ভাষায়-
WordPress automatically solves a ton of SEO issues
ওয়ার্ডপ্রেসের কোড লেখা হয়েছে খুবই হাই কোয়ালিটি SEO Compliance মেইনটেইন করে। Yoast SEO এর মত ফ্রি প্লাগিন ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট আরও বেশি অপটিমাইজড করতে পারবেন।
৬/ ওয়ার্ডপ্রেস সেইফ এবং এর সিকিউরিটি বেশ মজবুত: ওয়ার্ডপ্রেসের কোড লেখা হয়েছে সিকিউরিটির কথা মাথায় রেখে। তবে অফলাইন পৃথিবীর মত অনলাইনও সব সময় আনপ্রেডিক্টেবল। তাই ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বিভিন্ন ফ্রি প্লাগিন ব্যবহার করা যায় চাইলে।
৭/ বিভিন্ন ধরনের মাল্টিমিডিয়া ফাইল ফরম্যাট ব্যবহার করা যায়: শুধু Text না! বিভিন্ন ফরম্যাটের ইমেইজ, ভিডিও, অডিও ছাড়াও পিডিএফ বা অন্যান্য ফাইল ম্যানেজম্যান্টের জন্য ওয়ার্ডপ্রেসের Built-in সাপোর্ট রয়েছে!
ওয়ার্ডপ্রেসের আরেকটি শক্তিশালী দিক হল- এটিও Embed ফিচার সাপোর্ট করে। এর মানে, আপনি ইউটিউব ভিডিও, ইন্সটাগ্রাম ফটো, টুইটার টুইটস, সাউন্ডক্লাউডের অডিও সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের কনটেন্টের জাস্ট URL টা কপি করে ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়েবসাইটে Paste করলেই সেটি অটোমেটিক ওয়েবসাইটে এমবেড হয়ে যাবে
৮/ মোবাইল ফ্রেন্ডলি: ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট যেকোনো ডিভাইস থেকেই ব্রাউজ করা যায়।
৯/ ওয়ার্ডপ্রেস বিষয়ে রিসোর্সের অভাব নেই: পৃথিবীতে ৭০ মিলিয়নের বেশি ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বানানো। এতো বিশাল ইউজার কম্যুনিটি থাকায় ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে ব্লগ, ফোরাম, রিসোর্সের অভাব নেই!
১০/ ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট ইন্সটল করা এবং ম্যানেজ করা সহজ: আমার মতে এটাই সম্ভবত ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় কারণ।
ওয়ার্ডপ্রেস Multiple-Language সাপোর্ট করে তাই বাংলা বা ইংরেজি বা উভয় ভাষাতেই ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন।
চাইলেই পুরো ওয়েবসাইট অন্য কোনো হোস্টিং কোম্পানির সার্ভারে ট্রান্সফার করতে পারেন।
যেমনটা বলছিলাম- ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ছোট বড় যেকোনো ওয়েবসাইটই বানানো যায়! ছোট বিজনেস থেকে শুরু করে বড় বড় অনেক ব্র্যান্ড তাদের অনলাইন উপস্থিতির জন্য ওয়ার্ডপ্রেসের উপর আস্থা রাখেন।