ভালবাসার অনিবার্য পরিণতি শারিরীক মিলন। মনোবিজ্ঞানীদের মতে প্রেমের ক্ষেত্রে শারীরিক চাহিদা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার কিছু না জেনে না বুঝেই প্রেমিকাকে সেক্সের অফার করে বসলে প্রেমকাহিনীর সেখানেই ইতি ঘটতে পারে। তাই স্রেফ তিনটি মেথড দ্বারা জেনে নিন আপনার প্রেমিকা সেক্স করতে চায় কিনা?
প্রথম মেথড: তার কথাবার্তা পর্যবেক্ষণ করুন
১. গার্লফ্রেন্ডের কথাবার্তা পর্যবেক্ষণ করুন। সে যখন শারিরীক বা যৌন সম্পর্কের বিষয়গুলি নিয়ে বেশী কথা বলে তখন বুঝবেন যে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এখন মাত্র প্রথম ধাপে আপনি আছেন। প্রথম প্রথম ‘সেক্স’ শব্দটি উচ্চারণ করতে আপনার গার্লফ্রেন্ডের নিশ্চয়ই জড়তা কাজ করত। কিন্তু এখন হয়তো আর করছে না। সে খুব সহজেই আপনার সাথে সেক্স বিষয়ে কথা বলছে। অনেকের মাঝে থেকেও গোপনে আপনার সাথে কথা বলছে। হঠাৎ করেই কোন নায়ক-নায়িকা, খেলোয়াড় কিংবা দুজনের কারও বন্ধু-বান্ধবের সেক্স করা সম্পর্কে জানতে চাইছে বা আগ্রহ দেখাচ্ছে তখন বুঝবেন তারও ইচ্ছে সৃষ্টি হচ্ছে।
২. ধরুন হঠাৎ একদিন আপনাকে বলে বসল তার পিরিয়ডের কথা। তখন বুঝবেন যে তার ব্যাক্তিগত বিষয়গুলি আপনাকে জানাতে চায়। মোটেই হাসাহাসি করবেন না কিংবা ঘৃণা প্রকাশ করবেন না। তাকে অপমান করার চেষ্ঠা করবেন না। কারন পিরিয়ড একটা প্রাকৃতিক বিষয় যা প্রতিমাসে মেয়েদের হয়। অনেকের জন্য এটা যন্ত্রণাদায়কও হয়। তাই তাকে ভরসা দিন। আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বোঝাতে একদিন স্যানিটারি ন্যপকিন কিনে দিতে পারেন।
৩. আপনি খেয়াল করছেন যে আপনার লাজুক গার্লফ্রেন্ডটি ইদানিং আপনার সাথে ফোনে ‘ডার্টি টকিং’ করছে। ডার্টি মেসেজ পাঠাচ্ছে, ডার্টি পিকচার পাঠাচ্ছে তখন বুঝতে হবে যে সে আপনার কাছ থেকে আরও কিছু চায়। তখনই বলে বসবেন না যেন। কারন মেয়েদের মন বোঝা বড় দায়। তার কথার সাথে তাল দিয়ে যান এবং অপেক্ষা করুন পরবর্তী ধাপের জন্য।
দ্বিতীয় মেথড: তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন
১. আপনার গার্লফ্রেন্ডের আচরণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। পার্কে একসাথে আড্ডা দেবার সময় সে আপনাকে বারবার ছোঁয়ার চেষ্ঠা করবে। নানা ছুঁতোয় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করবে। কিল, চিমটি দিবে। হাত চেপে দিবে। বুক দেখানোর চেষ্ঠা করবে ইত্যাদি।
২. মাথাব্যাথার ছল করে মাথা টিপে দিতে বলবে। কোলে মাথা রাখতে বলবে। কাঁধে মাথা রাখবে। দুইহাতে আপনার বাহু জড়িয়ে ধরবে। আপনার শারীরিক কাঠামো নিয়ে মন্তব্য করবে। এককথায় শারীরিকভাবে কাছাকাছি আসার চেষ্ঠা করবে।
৩. ধরা যাক আপনাদের সম্পর্ক চুমু অবধি গেছে। চুমু দিতে গেলে সে কোন বাধা দিচ্ছে না বা নিজের থেকে কিছু করছে না। আপনি তার শরীরে বিভিন্ন স্থান যেমন স্তন, নিতম্ব ইত্যাদিতে স্পর্শ করছেন কিন্তু সে কোন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। তখন বুঝতে হবে যে সে আপনি কি করেন তার অপেক্ষায় আছে।
তৃতীয় মেথড: সরাসরি জিজ্ঞেস করুন
১. যদি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপগুলি ঠিকঠাক পার হয় তবে তৈরি হোন দৈহিক মিলনের প্রস্তাব দেয়ার জন্য। তাকে সরাসরি প্রশ্ন করুন সে আপনার সাথে সেক্স করতে ইচ্ছুক কিনা। সরাসরি এভাবে বললে বেশীরভাগ মেয়েই পছন্দ করবে না। হিতে বিপরীত হবে। তার চেয়ে পাশে বসে তার হাতটি ধরে বলুন “আমরা আরও কাছাকাছি আসতে পারি না?” অথবা বলুন “আমাকে স্থান দাও তোমার শরীরে”। আবারও বলছি প্রথম ধাপ দুটো সম্পর্কে কনফার্ম হয়ে তবেই এটা করবেন।
২. ধরে নিলাম আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার সাথে সেক্স করতে রাজী হলো। তখুনি তাকে নিয়ে দৌড় দেবেন না। কিংবা অশ্লীল কথা বলা শুরু করবেন না। এতে সে আপনাকে পারভার্ট ভাববে। গার্লফ্রেন্ড সম্মতি দেয়ার পর তার সাথে স্থান নিয়ে আলোচনা করুন। কোথায় আপনারা এই স্বর্গসুখ লাভ করতে চান সেটা স্থির করুন। এক্ষেত্রে হোটেল বা পাবলিক রেসিডেন্স ব্যাবহার করা উচিৎ নয়। এসব স্থানে গোপন ক্যামেরা থাকতে পারে।
৩. সবকিছু স্থির হবার পর সেক্সের প্রটেকশন নিয়ে আলোচনা করুন। কনডম না কন্ট্রাসেপটিভ পিল কোনটা ইউজ করবেন সে বিষয়ে দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিন। এসব আলোচনা করার আরেকটি সুবিধা হলো দুজনের শারীরিক ও মানসিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া। তারপর ‘শুভদিন’ দেখে চলে যান বিছানায়। আরেকটি কথা, সেক্সের ক্ষেত্রে শুধু নিজের চাহিদাকেই গুরুত্ব দেবেন না; আপনার গার্লফ্রেন্ডের মতামতের প্রতিও গুরুত্ব দিবেন।