এই সময়ে হঠাৎ অনুভব করলেন, নাকের ভেতরটা বন্ধ হয়ে আছে। একটু পর কথা বলার সময়ও অনুভব করলেন, নাকে কথা বেঁধে আসছে। শীতের সময় এমন সমস্যা হতেই পারে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুসনে কমর ওসমানী বলেন, ভাইরাসজনিত কারণে এ সময়ে নাক বন্ধ হতে পারে। এ ছাড়া শুষ্ক আবহাওয়ায় ধুলাবালুর কারণে অ্যালার্জি হলে নাক বন্ধ হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। নাক বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ঘ্রাণ নিতে অসুবিধা হওয়া, মাথাব্যথা, হালকা সর্দি, জ্বর বা কাশিও থাকতে পারে। এ ছাড়া কথা বলার সময় অসুবিধা হতে পারে।
কী করবেন তখন
গরম পানিতে মেনথলের দুই-তিনটি দানা ছেড়ে দিয়ে সেই পানির ভাপ নিতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিবার ব্যবহারের সময় নাকের প্রতি পাশে চার ফোঁটা করে ব্যবহার করা উচিত। এসব ড্রপের কোনোটি দিনে দুবার আবার কোনোটি দিনে তিনবার করে ব্যবহার করতে হয়। তাই এই ড্রপগুলো ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এসব ড্রপ ১০-১৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া অ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।
কিছু সতর্কতা
নাকের ড্রপগুলো দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ একটানা ছয়-সাত মাস ধরে এসব ড্রপ ব্যবহার করলে একসময় সেটির কারণেই আবার নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
এক পাশের নাক বন্ধ হলে
এ সময়ে ভাইরাস বা অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হলে দুপাশের নাকই বন্ধ হয়ে থাকে। যদি কারও শুধু এক পাশের নাক বন্ধ হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ নাকের কোনো টিউমার, নাকে ছত্রাক সংক্রমণ বা অন্য কোনো কারণে এক পাশের নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমন সমস্যা হলে নিজেই নিজের চিকিৎসা করা একদম ঠিক নয়।
প্রতিরোধ
অসুস্থ ব্যক্তি হাঁচি-কাশির সময় নাকে-মুখে রুমাল বা টিস্যু পেপার চেপে ধরলে অন্যদের মধ্যে জীবাণু ছড়াবে না। বাইরে থেকে ফিরে প্রত্যেকেরই হাত ধোয়া উচিত। কারণ হাতের মাধ্যমেও জীবাণু ছড়াতে পারে। বাসায় ধুলা-ময়লা জমতে দেওয়া চলবে না। এতে অন্তত ঘরের মধ্যে ধুলাবালুর কারণে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে।