ক্ষার ধাতু সমূহের জারণ সংখ্যা ১।
জারণ বিজারণ
“ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যদি কোনো রাসায়নিক সত্তা (অণু, পরমাণু বা আয়নের) ইলেকট্রন আদান-প্রদান ঘটে তাহলে সেই বিক্রিয়াকে বলা হয় জারণ বিজারণ বিক্রিয়া। । ”
কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অক্সিজেন বা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল বা মূলক যুক্ত হওয়াকে বা হাইড্রোজেন বা তড়িৎ ধনাত্মক মৌল অপসারণ হওয়াকে জারণ বলে। জারণের ঘটলে মৌলের আয়নের সংখ্যা হ্রাস পায়।
কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন বা তড়িৎ ধনাত্মক মৌল বা মূলক যুক্ত হওয়া এবং অক্সিজেন বা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল বা মূলক অপসারণ হওয়াকে বিজারণ বলে। বিজারণ ঘটলে মৌলের আয়ন সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
জারণ সংখ্যা
যৌগ গঠনের সময় কোনো মৌল যত সংখ্যক ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়ন উৎপন্ন করে বা যত সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্বক আয়ন উৎপন্ন করে তাকে মৌলের জারণ সংখ্যা বলে। নিরপেক্ষ বা মুক্ত বা পরমাণু অবস্থায় মৌলের জারণ সংখ্যা শূন্য(০) ধরা হয়। ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়নে মৌলের জারণ সংখ্যাকে ঋণাত্মক জারণ সংখ্যা এবং ইলেকট্রন বর্জন করেধনাত্মক আয়নে পরিণত হলে একে ধনাত্মক জারণ সংখ্যা বলে।
ধাতু সমুহের জারণ সংখা ধনাত্বক এবং অধাতু সমু্হের জারণ সংখা ঋণাত্বক এবং যৌগ মূলক সমুহের জারণ সংখ্যা তাদের আধান অনুসারে হয়। যৌগ ভেদে অর্থাৎ বিভিন্ন যৌগে একই মৌলের জারণ সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন: HCl অণুতে H-এর জারণ সংখ্যা +1 আবার H2 অণুতে এর জারণ সংখ্যা ০। একই ভাবে,HCl অণুতে Cl-এর জারণ সংখ্যা -1 এবং Cl2 অণুতে জারণ সংখ্যা ০। Cu এর জারণ সংখ্যা +2
জারণ সংখ্যা নির্ণয়
মৌলের জারণ সংখ্যা মূলত তার ইলেকট্রন বিন্যাসের সাথে সম্পর্কিত। একটি যৌগে কোনো মৌলের জারণ সংখ্যা, যৌগে বিদ্যমান অন্যান্য মৌলের জারণ সংখ্যার উপর নির্ভরশীল। কোনো যৌগে একটি মৌলের জারণ সংখ্যা নির্নয় করতে হলে যৌগে বিদ্যমান অন্যান্য মৌলের জারণ সংখ্যা জানতে হয়।ক্ষার ধাতু সমূহের জারণ সংখ্যা ১।