এইচটিএমএলের পূর্ণ রূপ হলো হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। এইচটিএমএলের নানা উপাদান বা এলিমেন্ট থাকে এবং এগুলোর সমন্বয় করেই তৈরি করা হয় ওয়েবসাইট। শুধু ওয়েবসাইটই নয়, ওয়েবপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়—এমন আরও নানা ধরনের অ্যাপলিকেশনে এইচটিএমএল ব্যবহার করা হয়। যেমন আমরা ই-মেইলে এইচটিএমএল এলিমেন্ট ব্যবহার করতে পারি।
এইচটিএমএল কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা নয়, বরং বিভিন্ন তথ্য কীভাবে উপস্থাপন করা হবে, তা নির্ধারণের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। আমরা অন্যান্য ডকুমেন্ট ফাইলে যেমন অনুচ্ছেদ, শিরোনাম, লিংক তৈরি করতে পারি, এইচটিএমএল ফাইলেও একইভাবে এলিমেন্ট তৈরি করা যায়।
এই এলিমেন্টগুলোর একটি নির্দিষ্ট মান রয়েছে এবং সব ওয়েব ব্রাউজার এই মানগুলো মেনে চলে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডিজাইনে কিছু পার্থক্য দেখা গেলেও সব ব্রাউজারেই সাধারণ এলিমেন্টগুলো একইভাবে দেখিয়ে থাকে।
এইচটিএমএল ফাইলগুলোর এক্সটেনশন .html অথবা .htm হয় এবং যেকোনো ব্রাউজার থেকেই এ ধরনের ফাইলগুলো দেখা যায়। তবে ফাইলের তথ্যগুলো উপস্থাপনের জন্য শুধু কাঠামো তৈরি করে দেয় এইচটিএমএল। তবে কী ফন্টে লেখা হবে, ফন্টের আকার কী হবে, রং কী হবে, সেগুলো নির্ধারণ করার জন্য স্টাইল কোড লিখতে হয়। এইচটিএমএল স্টাইল নির্ধারণের কাজ করা হয় সিএসএস ব্যবহার করে। আবার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সরাসরি কোনো এক্সটেনশন ব্যবহার না করা হলেও ওয়েব ব্রাউজার এইচটিএমএল কোড দেখাতে পারে।