নির্দিস্ট উপাত্ত তল হতে সম উচ্চতা বিশিষ্ট বিভিন্ন বিন্দুর সংযোগকারী কাল্পনিক রেখাই কন্টুর। যে প্রক্রিয়ার সাহায্যে কন্টুর মানচিত্র তৈরি করা হয় তাকেই কন্টুর বলে।
কন্টুর রেখার বৈশিষ্ট্য
উত্তর: বৈশিষ্ট্য গুলো হল:
(ক) একটি কন্টুরের প্রত্যেকটি বিন্দুর এলিভেশন সমান।
(খ) একটি কন্টুর কখনো মানচিত্রের মাঝখানে শেষ হবে না। হয় বায়রে বের হয়ে যাবে না হয় মিশে যাবে।
(গ) সমদূরত্বের কন্টুর রেখা সমঢাল নির্দেশ করে।
(ঘ) সরল সমান্তরাল ও সমদূরত্বে অবস্থিত কন্টুর রেখা সমতল ভূমি নির্দেশ করে।
(ঙ) ধারাবাহিক কন্টুর রেখার মান ভিতেরর দিকে বাড়তে থাকলে তা পাহাড়।
(চ) ধারাবাহিক কন্টুর রেখার মান ভিতরের দিকে কমতে থাকলে তা জলাধার ।
(ছ) কন্টুর রেখ কখনো খন্ড খন্ড হবে না।’
( এখান থেকে কমপক্ষে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য পারা খুবই জরুরি)
প্রশ্ন কন্টুর রেখার ব্যবহার লিখ:
উত্তর:(ক) কন্টুর ম্যাপ ত্রিমাত্রিক বিধায় সহজেই দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও উচ্চতা জানা যায়।
(খ) বিভিন্ন বিন্দুর আপেক্ষিক উচ্চতা জানা যায়।
(গ) কোন প্রকল্পের জন্য মাটি কাটা ও মাটি ভরাটের পরিমান নির্ণয় করা যায়।
(ঘ) ভূ-রূপ সহজেই প্রদর্শন করা যায়।
(ঙ) ইহা সামরিক কাজে সৈন্যরা ব্যবহার করতে পারে।
(চ) ইহা শত্রদের অবস্থান ও গতিবিধি নির্ধারনে সহায়তা করে।
কন্টুর (Contour): নির্দিষ্ট উপাত্ত তল হতে সম-উচ্চতা বিশিষ্ট বিভিন্ন বিন্দুর সংযোগকারী কাল্পনিক রেখাকে কন্টুর বলা হয়। আর এই কন্টুর নক্সায় অংকিত হলে একে কন্টুর রেখা বলা হয়।
কন্টুরের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরুপঃ
i. একটি কন্টুরের প্রত্যেকটি বিন্দুর এলিভেশন বা আর এল সমান হবে।
ii. পাহাড়ের ঝুলে থাকা অংশ ছাড়া কখনও দুটি কন্টুর রেখা পরস্পরকে ছেদ করবে না।
iii. একটি কন্টুর কখনও মানচিত্রের মধ্যখানে শেষ হবে না। এটা হয় মিলে যাবে, না হয় মানচিত্রের বাইরে চলে যাবে।
iv. কন্টুরের অনুভূমিক সমতল ভূ-পৃষ্ঠের ঢালের বিপরীত অনুপাতে বাড়ে। কন্টুর রেখা যত নিকটবর্তী হয়, ঢালের মাত্রা তত বেশি হয়।
v. সমদূরত্বে কন্টুর রেখার অবস্থান সমঢাল নির্দেশ করে।
কন্টুর প্রক্ষেপণ:কন্টুর মানচিত্রের উপর বিভিন্ন বিন্দুর মাঝে আনুপাতিক হারে বিভিন্ন মানের কন্টুরের অনুভূমিক দূরত্ব নির্ণয় করার প্রক্রিয়াকে কন্টুর ইন্টারপোলেশন বা কন্টুর প্রক্ষেপণ বলে।
কন্টুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহারঃ
ক, এর সাহায্যে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের (যেমন- সড়ক, রেলপথ, খাল, পয়প্রণালী ইত্যাদির) উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা যায়।
খ. প্রকল্পের মাটি কাটা ও ভরাটের পরিমাণ নির্ণয় করা যায়।
গ. অববাহিকা অঞ্চলের ক্ষেত্রফল, আবদ্ধ জলাশয়, হৃদ, পুকুর, ডোবা ইত্যাদির ধারণ ক্ষমতা নির্ণয় করা যায়।
ঘ. বন্যার পানির আগমন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার দিকনির্দেশনা জানা যায়।
ঙ. এর ছেদন চিত্র অংকন করে ভূমিরুপ প্রদর্শন করা যায়।
চ. গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ব্যবহার করা যায়।