ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলক দ্বারা এসিডের হাইড্রোজেন আংশিক বা সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপিত হয়ে যে যৌগ উৎপন্ন হয়, তাকে লবণ বলা হয়। যেমন: MgSO4। লবণের শ্রেণিবিভাগ: ১. পূর্ণ লবণ: এসিডের সব হাইড্রোজেন প্রতিস্থাপিত হয়ে যদি লবণ তৈরি না হয়, তখন তাকে আংশিক লবণ বলা হয়। যেমন: NaCl। ২. আংশিক লবণ: এসিডের সব হাইড্রোজেন যদি প্রতিস্থাপিত হয়ে লবণ তৈরি না হয়, তখন তাকে আংশিক লবণ বলা হয়। যেমন: KHCO3। ৩. ক্ষারকীয় লবণ: প্রশমন বিক্রিয়ায় ক্ষারের তুলনায় এসিডের পরিমাণ কম থাকলে ঐ লবণের মধ্যে ক্ষারের অংশবিশেষ থেকে যায়, একে ক্ষারকীয় লবণ বলা হয়। যেমন: Pb(OH)Cl। ৪. দ্বি-লবণ: যে লবণের স্ফটিকের মধ্যে দুটি লবণ থাকে, তাকে দ্বি-লবণ বলা হয়। যেমন: K2SO4.Al2(SO4)3.24H2O। ৫. মিশ্র লবণ: যে লবণের মধ্যে একাধিক ক্যাটায়ন অথবা একাধিক অ্যানায়ন থাকে, তাকে মিশ্র লবণ বলা হয়। যেমন: Ca(OCl)Cl। ৬. জটিল লবণ: যে লবণের মধ্যে অবস্থান্তর ধাতুর জটিল আয়ন থাকে, তাকে জটিল লবণ বলা হয়। যেমন: [Cu(NH3)4]SO4। এছাড়া জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি অনুযায়ী লবণ আবার ৩ প্রকার। যথা: ১. নিরপেক্ষ লবণ: যেসব লবণ তীব্র এসিড এবং তীব্র ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়, তাদেরকে নিরপেক্ষ লবণ বলা হয়। যেমন: NaCl। ২. অম্লীয় লবণ: যেসব লবণ দুর্বল ক্ষার এবং সবল এসিড থেকে তৈরি, তাদেরকে অম্লীয় লবণ বলা হয়। যেমন: CuSO4। ৩. ক্ষারধর্মী লবণ: যেসব লবণ দুর্বল এসিড এবং সবল ক্ষার থেকে তৈরি হয়, তাদেরকে ক্ষারধর্মী লবণ বলা হয়। যেমন: Na2CO3।
