মহব্বাত বা ভালোবাসা চার প্রকার: (১) আল্লাহকে ভালোবাসা; আর তাই ঈমান ও একত্ববাদের মূল ভিত্তি ও দাবী। (২) আল্লাহর জন্য ভালোবাসা; আর তা হলো আল্লাহর নবী, রাসূল এবং দীনদার ঈমানদার নেক বান্দাগণকে ভালোবাসা। ইচ্ছা ছাড়াও যে সব কাজ, সময় স্থান কিংবা অন্য যা কিছু আল্লাহ ভালোবাসেন তাকেও ভালোবাসা। আর এগুলো সবই আল্লাহকে ভালোবাসার অন্তর্ভুক্ত এবং সম্পূরক। (৩) আল্লাহর সাথে অন্যের প্রতিও ভালোবাসা স্থাপন করা, যেমন মুশরিক সম্প্রদায় তাদের কল্পিত দেব-দেবীদের, বৃক্ষরাজী, মূর্তি-ভাস্কর্য, মানুষ, ফেরেশতা, রাজা-বাদশা এবং অন্যান্যদেরকে মহব্বত করে থাকে। অথচ এগুলো সবই হচ্ছে শির্কের মূলভিত্তি। (৪) প্রকৃতিগত সাধারণ মহব্বত বা ভালোবাসা। এধরনের ভালোবাসা তিন প্রকার; যথা: (ক) শ্রদ্ধা-ভক্তির ভালোবাসা, যথা; মাতা-পিতাকে সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে ভালোবাসা। (খ) স্নেহ, আদর ও দরদের ভালোবাসা, যথা; সন্তানদেরকে ভালোবাসা। (গ) বিভিন্ন প্রকৃতির ভালোবাসা ও হিতাকাংখী হওয়া। যেমন; জন- মানুষের প্রতি মহব্বত রাখা এবং জনকল্যাণ করা। তাছাড়াও খাদ্য-দ্রব্য, পিপাসা নিবারক পানীয়, পোষাক পরিচ্ছদ বিয়ে শাদী ইত্যাদি পছন্দ বা গ্রহণ করা দোষনীয় হবে না: যদি তা আল্লাহর আনুগত্যের পরিপন্থী না হয়। বরং তা আল্লাহর ইবাদাত হিসেবে গণ্য হবে। আর যদি ঐ সব বিষয়-বস্তু আল্লাহর নাফরমানীর কারণ হয় তাহলে তা প্রত্যাশা কিংবা পছন্দ করা হারাম। তবে হারাম হবার কারণ না ঘটলে তা মুবাহ বা বৈধ।