উত্তর: আল্লাহ ৩টি বৈশিষ্ট্য দিয়ে তারকারাজী সৃষ্টি করেছেন;
(১) আকাশের শোভাবর্ধনের জন্য; মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ وَلَقَدۡ زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنۡيَا بِمَصَٰبِيحَ ﴾ [الملك: ٥]
‘‘আমরা দুনিয়ার আকাশকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা দিয়ে’’। (সূরা আল-মুলক: ৫)
(২) শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করার জন্যে; মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ وَجَعَلۡنَٰهَا رُجُومٗا لِّلشَّيَٰطِينِۖ ﴾ [الملك: ٥]
‘‘আর আমরা তা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত রেখেছি’’। (সূরা আল মূলক: ৫)
(৩) আর যেন এর সাহায্যে মানুষ দিক নির্ণয় করতে সক্ষম হয়। অর্থাৎ দিক নির্ণয় উপকরণও এগুলো সৃষ্টির উদ্দেশ্য বটে। যেমন; মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ وَعَلَٰمَٰتٖۚ وَبِٱلنَّجۡمِ هُمۡ يَهۡتَدُونَ ١٦ ﴾ [النحل: ١٦]
‘‘আর তা (দিক নির্ণয়কারী) চিহ্ন বা উপকরণ এবং তারা নক্ষত্রের সাহায্যে পথ নির্দেশ লাভ করে থাকে” (সূরা আন-নাহল: ১৬)
অতএব উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য ব্যতীত তারকারাজীর অন্য কোনো ক্ষমতা বা গুণাবলী আছে মনে করা সত্যের অপলাপ এবং ভুল। আর যে ব্যক্তি নক্ষত্ররাজীর ব্যাপারে ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করলো সে সর্বপ্রকার কল্যাণ থেকে নিজকে বঞ্চিত করলো; যেহেতু সে অজানা ব্যাপার কল্পনা প্রসূত মনগড়া সমাধানের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে।
*লিখেছেন-
আবু আব্দুল্লাহ ইবরাহীম ইবন সলেহ ইবন আব্দুল্লাহ আল-খুদায়রী
বিচারপতি উচ্চতর আদালত, রিয়াদ।