জিন্দা পার্ক
জিন্দা পার্ক
বন্ধুদের সাথে বা পরিবারের সাথে পিকনিকে আস্তে চাইলে জিন্দা পার্ক হতে পারে চমৎকার অপশন
ঢাকাবাসী এবং ঢাকার আশেপাশের অধিবাসীদের কাছে এখন জিন্দা পার্কের দারুণ জনপ্রিয়তা! এর ভেতরের অবকাঠামোগত বৈচিত্র আর পার্কের মনোরম সৌন্দর্যই জনপ্রিয়তার কারণ। নৌ ভ্রমণ, লাইব্রেরি, কৃত্তিম টানেল, পদ্মপুকুর- কী নেই এখানে! বন্ধুদের সাথে বা পরিবারের সাথে পিকনিকে আস্তে চাইলে জিন্দা পার্ক হতে পারে চমৎকার অপশন।
এখানে পৌঁছানোও সহজ। নিজের গাড়িতে এলে তো সরাসরিই আসতে পারবেন। আর পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে চাইলে কুড়িল হাইওয়ে থেকে উঠতে হবে বিআরটিসি বাসে, যা আপনাকে নামিয়ে দেবে কাঞ্চন ব্রিজে। কাঞ্চন ব্রিজ থেকে অটো রিকশা বা টেম্পোতে করে সহজেই যেতে পারবেন জিন্দা পার্কে।
জিন্দা পার্কের এন্ট্রি ফি জনপ্রতি ১০০ টাকা। যদি গ্রুপ করে যেতে চান, যেমন যদি ১০০ জন হয় আপনার গ্রুপের লোকসংখ্যা তবে পার্কের ভেতর স্পট ভাড়া নিতে হবে। স্পট ভাড়া নেয়ার মূল্য শুরু হয় ৩০,০০০ থেকে, তবে চাইলে দরদামও করতে পারবেন। এছাড়া বিয়ে বা অন্তত ২৫০ জনের উপস্থিতিতে কোনো ইভেন্ট আয়োজন করতে চাইলে স্পট ভাড়া শুরু হয় দেড় লাখ টাকা থেকে। ৫০০ জনের জন্য এ ভাড়া শুরু হয় আড়াই লাখ টাকা থেকে। যদি এসব ইভেন্টে আপনি বাইরে থেকে খাবার নিতে চান, তবে দিতে হবে এক্সট্রা চার্জ। জিন্দা পার্কের ভেতরে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর নান্দনিক নিদর্শন হিসেবে রয়েছে একটি পাঠাগার, সেখানকার প্রবেশমূল্য ২০ টাকা।
আপন ভুবন পিকনিক ও শ্যুটিং স্পট
আপন ভুবন পিকনিক ও শ্যুটিং স্পট
টংগি-কালীগঞ্জ হাইওয়েতে অবস্থিত আপনভুবন ঢাকার আশেপাশে সেরা পিকনিক স্পট গুলোর তালিকায় চমৎকার সংযোজন ।। ক্রেডিটঃ আপন ভুবন পিকনিক ও শ্যুটিং স্পট
টংগি-কালীগঞ্জ হাইওয়েতে অবস্থিত আপনভুবন ঢাকার আশেপাশে সেরা পিকনিক স্পট গুলোর তালিকায় চমৎকার সংযোজন। পুরো জায়গাটিতে বিনোদনের সুব্যবস্থা করা হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে। বেশ কিছু নাটক ও চলচ্চিত্রের শ্যুটিংও করা হয়েছে এখানে। কৃত্তিম ভাবে নির্মিত সিংহাসন থেকে শুরু করে বাঁশের কুটির- এমন নানা আয়োজন পাবেন এখানে। আর ছবি তোলার জন্যও প্রচুর সুন্দর জায়গা আছে আপন ভুবনে।
টংগী বা পূর্বাচল হাইওয়ে থেকে এখানে যাওয়া খুব সহজ। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যেতে চাইলে নামতে হবে পুবাইল কলেজ গেট বাস স্টপে।
এন্ট্রি ফি বিভিন্ন রকম হয় কারণ মানুষ সাধারণত বড় অনুষ্ঠানের জন্য এ স্পট ভাড়া নেয়। তবে দরদামের সুযোগ পাবেন। আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন ম্যারেজ সার্টিফিকেট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পাসপোর্ট নিতে ভুলবেন না। তবে এখানে খাবার আনতে হবে আপনাকেই।
তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক
তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক
শহরের খুব কাছেই তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক ।। ক্রেডিটঃ তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিকনিক করতে চাইলে ঢাকার আশেপাশে সেরা পিকনিক স্পট গুলোর মধ্যে তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্কের জুড়ি নেই। তুরাগের তীরে মিরপুর ১ বেড়িবাধ রোডে অবস্থিত এ পার্কটিতে আপনার পরিবারের বিনোদনের সুব্যবস্থা রয়েছে। নদীর মনোরম সৌন্দর্য ও সবুজের সান্নিধ্য এখানে মিলেমিশে একাকার।
শহরের খুব কাছেই তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক। তাই যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই সুবিধাজনক। মিরপুর ১১ বা সাড়ে বারো থেকে বাসে করে বা আপনার নিজের গাড়িতে যেতে পারবেন এখানে।
এ পার্কের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। প্রতিটি রাইডে উঠতে লাগে ৫০-৮০ টাকা। সুইমিং পুল ব্যবহারের জন্য গুনতে হবে ৩৫০ টাকা। পার্কের ভেতরের রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় সুস্বাদু খাবার, তবে বাইরের খাবার আনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
নাহার গার্ডেন
নাহার গার্ডেন
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার ঠিক পাশেই অবস্থিত নাহার গার্ডেন ।। ক্রেডিটঃ নাহার গার্ডেন
সবুজের ছায়ায় শান্তির সময় কাটাতে চাইলে যেতে পারেন নাহার গার্ডেনে। অতিথিদের আনন্দ দেবার জন্য এখানে আছে একটি চিড়িয়াখানাও। ছোট হলেও এখানে বানর, হরিণ থেকে শুরু করে ময়ূর, উটপাখি সহ আরো অনেক প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। রীতিমতো বাগানের মতো সজ্জিত নাহার গার্ডেন। এছাড়া এ পার্কের পুকুরে নৌভ্রমণও হতে পারে পরিবারের সাথে সুন্দর সময় কাটানোর মাধ্যম।
নাহার গার্ডেনে পৌঁছানোর উপায় বেশ সহজ। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার ঠিক পাশেই অবস্থিত নাহার গার্ডেন। বাসে বা যেকোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে আসতে চাইলে ঢাকা-আরিচা হাইওয়ের গলোরা বাস স্টেশনে নামতে পারেন। অটো রিকশা, টেম্পু সহ বিভিন্ন রকম যানবাহন পাবেন নাহার গার্ডেনের কাছেই।
জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা এবং এরপর আর এখানে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না আপনাকে। ৫০ জনের চাইতে কম মানুষ নিয়ে গেলে খাবারের আয়োজন পাবেন না, বাইরে থেকে খাবার নিতে পারবেন। তবে সেজন্যে গুণতে হবে এক্সট্রা চার্জ। ৫০ জনের বেশি হলে নাহার গার্ডেন কর্তৃপক্ষ আপনাকে খাবারের বেশ কিছু প্যাকেজ দিবে।