চিনের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হদিশ পাওয়া যায়। এর দেড় বছর পরও করোনার উৎস রহস্যে ঘেরা। এনিয়ে এবার অনুসন্ধানের দাবি জানালেন G7-এর নেতারা।
ইংল্যাল্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অতিমারি পরিস্থিতি যা মানুষের উন্নতির পথ ঘুরিয়ে দিয়েছে, সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে তাঁরা বদ্ধ পরিকর। ভবিষ্যতে আরও প্রস্তুত থাকতেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তাঁরা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ বৃদ্ধিতে সাহায্য করার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করব। "
করোনা আবহেই দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির তিন দিনের সামিট। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ছাড়াও, এই সামিটে স্ত্রী জিলকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটেনে হাজির হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাশাপাশি কানাডা, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীরাও উপস্থিত হয়েছেন সেখানে। এ ছাড়াও ভারতের পাশাপাশি অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগদান করেছেন দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপ্রধানরা।
জি ৭-এর সদস্য নয় ভারত। তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমন্ত্রণ পেয়েছে দেশ। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই অতিথি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জি-৭ সামিটে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সেখানে তিনি 'One Earth, One Health' বিষয়টি তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৯ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত উন্নত অর্থনৈতিক বিশ্বের এই গোষ্ঠীর সামিটে আমন্ত্রিত ছিলেন মোদি। তবে এ বছর এই জোটের অভিমুখ যে চিন-বিরোধী, তা স্পষ্ট। তাই অতিমারি আবহে এ বারের সামিটটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।