লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ
এম.এস আক্রান্ত একজন ব্যক্তি প্রায় যেকোন ধরনের স্নায়বিক সমস্যা নানারকম হতে পারে। যেমন- অনৈচ্ছিক পেশির কাজে সমস্যা হতে পারে, চেষ্টিয়,দর্শনে ইত্যাদি হল সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা।[২] সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট সমস্যা দেখা যায় স্নায়ুতে। স্নায়ুর সংবেদনশীলতার ব্যাপকহারে হ্রাস পায়, এর ফলে সুই বা পিন দিয়ে শরীরে স্পর্শ করলে শরীর অনুভব করতে পারে না, পেশিতে দুর্বলতার সৃষ্টি হয়,খিচুনী দেখা যায়, এবং ঐচ্ছিক পেশি নাড়ানো কঠিন হয়। কঠিন হয় শরীরের ভারসাম্য রাখা(ataxia);কথা বলতে,খেতে সমস্যা হয়, সমস্যা হয় দর্শনে (nystagmus, optic neuritis or double vision), অবসাদগ্রস্থতা অনূভুত হয়, তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, মুত্রথলি,এবং অন্ত্রে জটিলতার সৃষ্টি হয়।[২] চিন্তাভাবনা করাও কঠিন হয়ে দাড়ায়, মানসিক সমস্যা যেমন: হতাশাগ্রস্থতা, অস্থির অস্থির লাগা এই সবকিছুই খুবই সাধারণ লক্ষণ।[২] এম.এস এর অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শারীরিক তাপমাত্রার সম্মুখিন হওয়ার ফলে সৃষ্ট দশা বা উথফের প্রপঞ্চ (Uhthoff's phenomenon) এবং ঘাড় বাঁকানোর সময় পিঠ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার মত অনুভূতি বা হার্মাইটের লক্ষণ (Lhermitte's sign) উল্লেখযোগ্য।[২]
কারণ
মাল্টিপল স্কেলোরোসিসের কারণ অজানা। তারপরেও ধারণা করা হয় এই রোগ জেনেটিক এবং পরিবেশগত উভয়ের মিলিতভাবে সংঘটিত হওয়া কোনো রোগ।[২] নানান তথ্যকে বিশ্লেষণ করে ব্যখা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু কোনোটাই নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত নয়। পরিবেশগত যেসব আশঙ্কার কারণ আছে তার কিছু নিরাময়যোগ্য হলেও, তারপরেও আরো অনেক গবেষণার প্রয়োজন, যাতে করে এই রোগের কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরী করা যায়।