You can also earn money by answering questions on this site Find out the details

Categories

Sister Links: -- Nishiddho--BDLove24--Cerapatabd ....
116 views
in স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা by (-14 points)

1 Answer

0 like 0 dislike
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (ইংরেজি: Multiple Sclerosis বা সংক্ষেপে MS বা এম.এস.) হলো একধরনের ডি-মায়েলিনেটিং রোগ, যাতে মানব মস্তিষ্কে ও স্নায়ুরজ্জুতে বিদ্যমান স্নায়ুকোষগুলোকে আচ্ছাদনকারী অন্তরক আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতির কারণে স্নায়ুতন্ত্রের অংশবিশেষের অন্য অংশগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং ফলশ্রূতিতে, বৃহৎ পরিসরে বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক উপসর্গের সৃষ্টি হয়। এসব উপসর্গের মধ্যে সাধারণত শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং কখনও কখনও মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। সুনির্দিষ্ট উপসর্গসমূহের মধ্যে দ্বৈত প্রতিবিম্ব, এক চোখে অন্ধত্ব, মাংসপেশীর দূর্বলতা, ঈন্দ্রিয়ানুভূতিগত সমস্যা অথবা অঙ্গসঞ্চালনে সমণ্বয়হীনতা উল্লেখযোগ্য। এম.এস. ভিন্ন ভিন্ন রূপে দেখা দিতে পারে, যেগুলোর ফলে বিচ্ছিন্ন আক্রমণের সাথে নতুন উপসর্গ (পুনরাবনতিশীল রুপ) কিংবা সময়ের সাথে নতুন নতুন উপসর্গ (অগ্রসরমান রূপ) দেখা দিতে পারে। দুটি আক্রমণের মধ্যকার সময়ে কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে। তবুও, ক্রমবর্ধমান রোগের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে কিছু স্নায়ুবিক সমস্যা অবশিষ্ট থেকে যেতে পারে।

এ রোগের কারণ সুস্পষ্ট নয়। তথাপি রোগ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আক্রমণ অথবা মায়েলিন উৎপন্নকারী কোষগুলোর বিকলতাকেই এ রোগের অন্তর্নিহিত কারণ বলে মনে করা হয়ে থাকে। এ রোগের সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে, জিনগত ও পরিবেশীয় নিয়ামক যেমন, ভাইরাস সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য, যেখানে ভাইরাস সংক্রমণ রোগের অগ্রসরতাকে ত্বরান্বিত করে বলে আশঙ্কা করা হয়। এম.এস. সাধারণত দৃশ্যমান লক্ষণ ও উপসর্গ এবং পর্যবেক্ষণকে সমর্থনকারী মেডিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে শনাক্ত করা হয়ে থাকে।

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের কোন প্রতিষেধক নেই। আক্রমণের পরে শারীরবৃত্তিক ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং নতুন আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যেই চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। এ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো সুবিধাজনকভাবে কার্যকরী হওয়া সত্ত্বেও, এগুলোর এমন কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে যেগুলো হয়ত রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে। ফিজিওথেরাপি এক্ষেত্রে রোগীদের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে সাহায্য করতে পারে। তবে অনেকেই বিকল্প চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়ে থাকেন, যদিও এর কার্যকারীতার কোন প্রমাণ নেই। দীর্ঘমেয়াদী পরিণতির পূর্বাভাস দেয়া খুবই কঠিন। যদিও, বিশেষ জনগোষ্ঠী, যেমন যারা অল্প বয়সে রোগের শিকার হন, যারা এ রোগের পুনরাবনতিশীল প্রকরণে আক্রান্ত হন কিংবা যারা প্রাথমিকভাবে অল্প কয়েকবার আক্রমণের শিকার হন, তাদের ক্ষেত্রে অনেকসময় ভালো পরিণতি দেখা যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভালো পরিণতি দেখা যায়। সাধারণ জনগোষ্ঠীর তুলনায় এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আয়ুষ্কাল গড়ে ৫ থেকে ১০ বছর কম হয়ে থাকে।

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অটোইমিউন রোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সার্বজনীন। ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। যেখানে বিভিন্ন অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার উল্লেখযোগ্য তারতম্য বিদ্যমান। ঐ বছরে প্রায় ২০,০০০ মানুষ এই রোগের কারণে মারা যায়, যেখানে ১৯৯০ সালে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১২,০০০। সাধারণত ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যেই রোগটি প্রথম দেখা দেয় এবং পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ক্ষেত্রে রোগটি প্রায় দ্বিগুণ হারে বেশি দেখা দেয়। ১৮৬৮ সালে জিন-মার্টিন চার্কোট সর্বপ্রথম এই রোগটি বর্ণনা করেন। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস নামটি এই রোগের কারণে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরজ্জুর হোয়াইট ম্যাটারে হওয়া অসংখ্য ক্ষতচিন্হকে নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয়। কিছু সংখ্যক নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ও রোগ শনাক্তকরণ পদ্ধতি বর্তমানে উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে।
by Earnings : 7.67 Usd (6,723 points)
-- Payment Method & Thresholds--Referral Program--Help--
-- FAQ --- Terms --DMCA ---Contact Us --
Language Version--English --Bengali ---Hindi ---
...