ঔষধি ব্যবহারঃ
১) অর্জুন ছাল ভাল ভাবে প্রেষণ করে চিনি ও গরুর দুধের সাথে প্রত্যহ সকালে খেলে হৃদরোগ এবং বুক ধরফর কমে যায়।
২) রক্তে নিম্ন চাপ থাকলে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়।
৩) রক্ত ক্ষরণে ৫-৬ গ্রাম ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে পানি খেলে আরোগ্য হয়।
৪) শ্বেত বা রক্ত প্রদাহে ছাল ভিজানো পানি আধ চামচ কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে রোগের উপশম হয়।
৫) ক্ষয়কাশে অর্জুনের ছালের গুড়া বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে ঘি, মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৬) কাঁচা পাতার রস সেবনে আমাশয় রোগ ভাল হয়। রক্ত আমাশয়ে অর্জুন ছালের চূর্ণ ছাগলের দুধ মিশিয়ে খেলে সেরে যায়।
৭) হাঁপানিতে অর্জুন ফল টুকরো করে তামাকের মত ধোঁয়া টানলে উপকার পাওয়া যায়।
৮) হার্নিয়াতে অর্জুনের ফল কোমরে বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
জমি নির্বাচনঃ প্রায় সব ধরনের মাটিতেই হয়। তবে স্যাঁতস্যাঁতে উর্বর দো-আঁশ মাটি এ গাছ চাষের জন্য উপযুক্ত।
জমি তৈরিঃ জমি ভালভাবে চাষ দিয়ে আগাছামুক্ত করে নিতে হবে। বীজ বপণ বা চারা রোপণের পূর্বে বীজতলার মাটি বা গর্তের মাটির সাথে জৈব সার ৩ঃ১ অনুপাতে মিশাতে হবে।
বংশ বৃদ্ধিঃ বীজ, স্টাম্প এবং মূলের সাকার দিয়ে বংশবৃদ্ধি করে।
বীজ বপণ/চারা রোপণঃ বীজ বপণের পূর্বে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে বীজতলায় বপণ করতে হবে। বীজতলায় মাটি এবং জৈব সার (৩ঃ১) মিশিয়ে পূর্বেই প্রস্তুত করতে হবে। অংকুরিত চারার বয়স ৮-৯ মাস হলে তা রোপণ করা উত্তম। চারা রোপণের পর পরই পানি সেচে দিতে হবে। প্রয়োজনে খুটি দ্বারা চারা বেধে দিতে হবে।
পরিচর্যাঃ
১) মরা, শুকনো ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে।
২) শুস্ক মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) অশোক গাছে সার না দিলেও চলে। তবে প্রতি বছর ৪০ কেজি জৈব সার দুই কিস্তিতেঃ ১ম কিস্তি মধ্য ফাল্গুন-মধ্য বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে এবং ২য় কিস্তি মধ্য আশ্বিন-মধ্য অগ্রহায়ন (অক্টোবর-নভেম্বর) মাসে প্রয়োগ করলে ভাল হয়। গাছের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে জৈব সারের পরিমাণ ১০% বৃদ্ধি করতে হবে।
ফুল আসার সময়ঃ বৈশাখ-আষাঢ় (মধ্য এপ্রিল-মধ্য জুলাই)।
ফল ধরার সময়ঃ পৌষ-ফাল্গুন (মধ্য ডিসেম্বর-মধ্য মার্চ)।
বীজ সংগ্রহঃ পরিপক্ক ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। বীজ ভালভাবে রৌদ্রে শুকিয়ে ৬-১২ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।