কারক মূলত ছয় প্রকার। ছয় প্রকার কারকের প্রথমেই যে কারকের অবস্থান তার নাম 'কর্তৃকারক'।
সহজ ভাষায় বললে, বাক্যে ব্যবহৃত যে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে কিংবা যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকেই কর্তৃকারক বলে।
যেমন : বিমল খাবার খায়।
এখানে 'খায়' শব্দটি হচ্ছে ক্রিয়া এবং 'কে খায়?' প্রশ্ন করলেই উত্তর আসে বিমল। তাই এখানে বিমল হচ্ছে কর্তৃকারক।
কর্তৃকারক কত প্রকার ও কি কি?
কর্তৃকারক ক্রিয়া সম্পাদনের বৈচিত্র বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চার (৪) প্রকার। যথা:
১. মুখ্যকর্তা।
২. প্রযোজক কর্তা।
৩. প্রযোজ্য কর্তা।
৪. ব্যতিহার কর্তা।
মুখ্যকর্তা কাকে বলে?
যে কর্তা নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে মুখ্যকর্তা বলে।
যেমন : ঘোড়া গাড়ি টানে।
এখানে ঘোড়া হচ্ছে মুখ্যকর্তা।
প্রযোজক কর্তা কাকে বলে?
যখন মূল কর্তা নিজে কাজ বা ক্রিয়া সম্পন্ন না করে অন্যকে নিয়োজিত করে কাজ বা ক্রিয়া সম্পন্ন করিয়ে নেয় তখন তাকে প্রযোজক কর্তা বলে।
যেমন : মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
এখানে চাঁদ মা ও শিশু দুজনেই দেখছেন। কিন্তু মা দেখেচ্ছেন এবং শিশু দেখছেন। তাই এখানে 'মা' হচ্ছে প্রযোজক কর্তা।
প্রযোজ্য কর্তা কাকে বলে?
মূল কর্তার করণীয় কাজ যার দ্বারা সম্পন্ন বা সম্পাদিত হয় তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে।
যেমন : মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
এখানে মূল কর্তা হচ্ছে মা। কারণ তিনি তার শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। তিনি তার করণীয় কাজ শিশুকে দিয়ে সম্পাদিত করিয়ে নিচ্ছেন। তাই এখানে প্রযোজ্য কর্তা হচ্ছে শিশু।
ব্যতিহার কর্তা কাকে বলে?
যখন বাক্যের মধ্যে দুটি কর্তা একত্রে একজাতীয় ক্রিয়াই সম্পাদন করেন তখন তাকে ব্যতিহার কর্তা বলে।
যেমন : রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে।
এখানে দুটি কর্তা 'রাজা এবং রাজা' তারা একই ক্রিয়া সম্পাদন করছেন। তারা দুজনেই যুদ্ধ করছেন। তাই এখানে 'রাজা এবং রাজা' দুজনেই হচ্ছে ব্যতিহার কর্তা।