মোট ৭ জন সন্তান ছিল।
মুহাম্মাদ তার চাচাদের সাথে কথা বলে বিয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করেন। বিয়ের সময় খাদিজার বয়স ছিল ৪০ আর মুহাম্মাদের বয়স ছিল ২৫। ... খাদিজার গর্ভে মুহাম্মাদের ছয় জন সন্তান জন্মগ্রহণ করে, যার মধ্যে চার জন মেয়ে এবং দুই জন ছেলে। তাদের নাম যথাক্রমে কাসিম, জয়নাব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম, ফাতিমা এবং আবদুল্লাহ।
ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন, এ-বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই যে, শুধু ইবরাহিম (রা.) ছাড়া রাসুল (সা.)-এর সব সন্তান খাদিজা (রা.)-এর গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ। ইবরাহিম (রা.)-এর জন্ম মারিয়া বিনতে শামউন কিবতিয়াহ (রা.)-এর গর্ভ থেকে। (যাদুল মায়াদ, খন্ড- ১, পৃষ্ঠা ৮১) ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, নবীজির প্রথম সন্তান কাসিম। তারপর পর্যায়ক্রমে যয়নব, রুকাইয়াহ, উম্মে কুলসুম, ফাতেমা। এরপর জন্ম নিয়েছেন আবদুল্লাহ; অবশ্য তার জন্মকাল নিয়ে মতবিরোধ আছে। এরপর ইবরাহিম (রা.) তিনি মদিনায় জন্ম গ্রহণ করেন। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া, খন্ড- ৫, পৃষ্ঠা ৩০৬-৭) প্রত্যেকের পরিচয় সংক্ষেপে তুলে ধরা প্রয়োজন বলেই মনে করেছি আমরা।
কাসিম : তিনি নবীজির প্রথম সন্তান। নবুয়তের পূর্বে তার জন্ম হয়েছে। তার কারণে নবীজির উপনাম হয়েছে (আবুল কাসিম)। তিনি কতদিন বেঁচে ছিলেন, তা নিয়ে মতপার্থক্য আছে; অনেকে বলেন, ১৭ মাস। নবীজি (সা.)-এর সন্তানদের মধ্যে তিনিই প্রথম মারা যান।
আব্দুল্লাহ : বলা হয়, তিনি মক্কায় বাল্যকালেই মারা গেছেন। তবে তার জন্ম কি নবুয়তের পরে না পূর্বে, এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কয়েকজন নবুয়তের পরে হওয়ার মতকে সহীহ বলেছেন। তার উপাধি ছিলো তাইয়িব ও তাহির (উত্তম ও পবিত্র)। তবে কারও মতে তাইয়িব ও তাহির হলো শেষ দুই সন্তানের উপাধি। ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, না, দুটিই আবদুল্লাহ রা.-এর উপাধি। (যাদুল মায়াদ, খন্ড- ১, পৃষ্ঠা ১০৩)
যয়নব : তিনি রাসুল (সা.)-এর বড় মেয়ে। ইবনে ইসহাক (রহ.) বলেছেন, তিনি নবীজির ত্রিশ বছর বয়সকালে জন্মগ্রহণ করেছেন। নবীজি (সা.) তাকে খাদিজা (রা.)-এর ভাগ্নে আবুল আস ইবনে রবী’র সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। এই বিয়েও হয় খাদিজা (রা.)-এর আগ্রহে। কারণ আবুল আসকে তিনি আপন সন্তানের মতো দেখতেন। বাণিজ্যে, বিত্তে ও বিশ্বাসে আবুল আস ছিলেন মক্কার একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি। নবীজি (সা.)-এর নবুয়তের সম্মানে ভূষিত হলে খাদিজা (রা.) ও তার সকল কন্যা ইসলাম তার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেন; কিন্তু আবুল আস শিরকের গলিতেই থেকে যান। নবীজি (সা.) তার অন্য দুই মেয়ে রুকাইয়া (রা.) ও উম্মে কুলসুমকে (রা.) আবু লাহাবের দুই ছেলে উতবাহ ও উতাইবার সঙ্গে বিবাহ দিয়েছিলেন। কিন্তু কুরাইশের সামনে আল্লাহর বিধান পরিষ্কার হয়ে গেলে তারা বললো, তোমরা মুহাম্মদের সম্পৃক্ততা থেকে মুক্ত হয়ে যাও। তার মেয়েদের তার কাছে ফিরিয়ে দাও, তাদের নিয়ে তাকে ব্যস্ত থাকতে দাও। আবু লাহাবের ছেলেরা তাদের আহ্বানে সাড়া দেয় এবং মিলনের পূর্বেই তারা স্ত্রীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিনিময়ে উতবার সাথে এরপর আবান ইবনে সাঈদ ইবনে আস-এর কন্যাকে বিয়ে দেওয়া হয়। আর এই বিচ্ছেদের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা নবীজির মেয়েকে উতবার হাত থেকে নিষ্কৃতি দিয়ে সম্মানিত করেন। তারা আবুল আসের কাছেও আসে এবং তাকেও বলে, তোমার স্ত্রীকে ছেড়ে দাও, পরিবর্তে তুমি কুরাইশের যে-মেয়েকে চাও, বিয়ের ব্যবস্থা করবো। আবুল আস বললেন, আল্লাহর কসম, আমি স্ত্রীকে ছাড়তে পারবো না এবং আমার স্ত্রীর পরিবর্তে কুরাইশের অন্য কোনো মেয়েকেও আমি চাই না। নবীজি (সা.) তার প্রশংসা করতেন।
নবীজি (সা.) যয়নবকে (রা.) তার কাছে ফিরিয়ে দেন প্রথম বিয়ের ভিত্তিতেই এবং নতুন কিছুই আরোপ করেন নি। (ইবনে হিশাম, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা ৬৫১-৬৫৯) এভাবে এই সম্মানিত পরিবারটি আবার মিলিত হলো, যদিও বেশি দিন স্থায়ী হয় নি। দুই বছর পর অষ্টম হিজরিতে যয়নব রা. ইন্তেকাল করেন। তার গর্ভে দুটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে আলী ও উমামা (রা.)।
রুকাইয়া : রুকাইয়া রা. জন্মগ্রহণ করেন, তখন নবীজির বয়স ৩৩ বছর। মক্কায় থাকাকালে ওসমান ইবনে আফফান (রা.) তাকে বিয়ে করেন। আবু লাহাবের ছেলে উতবা মিলনের পূর্বে তাকে ছেড়ে দিলে এই বিয়ে সংঘটিত হয়। তিনি তার স্বামীর সাথে দুইবার হিজরত করেছেন, হাবশায় ও মদিনায়। উজ্জ্বল সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন তিনি। নবীজি বদর যুদ্ধে যাত্রা করার প্রাক্কালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার জন্য ওসমানকে (রা.) তিনি মদিনায় রেখে যান। বলে যান, নিশ্চয় যারা বদর যুদ্ধে শহীদ একজনের সমপরিমাণ সাওয়াব ও গনিমত তোমার জন্য থাকবে। (বুখারী, হাদিস ৩৬৯৮) এই অসুস্থতায়ই রুকাইয়া (রা.) মৃত্যুবরণ করেন। যায়েদ ইবনে হারেসা (রা.) এসেছিলেন বদর যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সুসংবাদ দিতে। এসে দেখেন, তার কবরের ওপরে মাটি সমান করা হচ্ছে। তার ঘরে এক ছেলে আব্দুল্লাহ জন্ম গ্রহণ করেন। তার নামেই ওসমান (রা.) উপনাম নিয়েছিলেন। তবে আব্দুল্লাহ ছয় বছর বয়সে মারা যান। এরপর ওসমান (রা.) তার ছেলে ‘আমর’-এর নামে উপনামে গ্রহণ করেন।
উম্মে কুলসুম : উম্মে কুলসুম (রা.)-এর নাম (কননা, উম্মে কুলসুম মানে কলুসুমের আম্মা।) জানা যায় না; তিনি এ-উপনামেই পরিচিত ছিলেন। নবীজি তাকে ওসমান (রা.)-এর কাছে বিয়ে দেন তার বড় বোন রুকাইয়া মারা যাওয়ার পরেই। এটা ছিলো তৃতীয় হিজরির ঘটনা। ওসমান (রা.)-এর স্ত্রী হিসেবেই তিনি আজীবন অতিবাহিত করেন। ৯ হিজরিতে আল্লাহ তাকে মৃত্যু দা করেন। নবীজি নিজে তার জানাযা পড়িয়েছেন, তার কবরের পাশে বসেছেন, এ-সময় চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছিলো। দাফনের আগে তিনি সাহাবীদের জিজ্ঞেস করেন, তোমাদের মধ্যে কি কেউ আছে গত রাতে সহবাস করে নি? আবু তালহা (রা.) বলেন, আমি। নবীজি বলেন, তুমি কবরে নামো। আবু তালহা (রা.) তার কবরে নামেন। (বুখারী, হাদিস ১২৮৫)ওসমানকে (রা.) যিন্নূরাইন (দুই জ্যোতির অধিকারী) উপাধি দেওয়া হয়। কেননা, তিনি নবীজির দুই মেয়েকে বিবাহ করেন। ওসমান (রা.)-এর স্ত্রী থাকাকালে উম্মে কুলসুমের কোনো সন্তান হয় নি।
ফাতিমা : তার জন্মসন সম্পর্কে নিশ্চিত জানা যায় নি। ইবনুল জাওযি (রহ.) বলেন, নবুয়তের ৫ বছর পূর্বে তার জন্ম হয়। ইবনে আব্দুল বার (রহ.) বলেন, তার জন্ম হয়েছে নবীজির ৪১ বছর বয়সে। (৪৯ আল-মাওয়াহিবুল লাদুনিয়্যাহ, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা ৬৩)
নবীজি তাকে আলী (রা.)-এর কাছে বিয়ে দেন। এই বিয়ে সংঘটিত হয় হিজরতের দ্বিতীয় বছরে। (বিস্তারিত জানতে দেখুন, লেখক কৃত ‘মিন মায়ীনিস সীরাত’, দ্বিতীয় সংস্করণ, পৃষ্ঠা ২২৫) নবীজির কাছে তার আপনজনদের মধ্যে মধ্যে সবচে’ প্রিয় ছিলেন তিনি। নবীজি তার ক্ষোভে ক্ষুব্ধ হতেন, তার সন্তোষে সন্তুষ্ট হতেন। হাদিসে এসেছে, মিসওয়ার ইবনে মাখরামা বলেন, আলী (রা.) আবু জাহেলের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফাতেমা (রা.) তা শুনে ফেলেন। তারপর নবীজির কাছে এসে বললেন, আপনার সম্প্রদায় মনে করে, আপনার মেয়েদের কিছু হলেও আপনি ক্ষুব্ধ হন না। এ-দিকে আলী আবু জাহেলের মেয়েকে বিবাহ করতে যাচ্ছে। নবীজি (সা.) এ-কথা শোনামাত্রই দাঁড়িয়ে যান। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তার (ফাতিমা) উপস্থিতিতে নবীজিকে বলতে শুনেছি, আমি আবুল আসের কাছে এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। সে আমাকে কথা দিয়েছে এবং কথা রেখেছে। আর ফাতিমা আমার কলিজার টুকরা। আমি তার কষ্ট অপছন্দ করি। আল্লাহর কসম, আল্লাহর নবীর মেয়ে এবং আল্লাহর শত্রুর মেয়ে এক ব্যক্তির কাছে একত্র হতে পারে না। এরপর আলী (রা.) তার প্রস্তাব বাতিল করেন। অন্য বর্ণনায় আছে, হিশাম ইবনে মুগীরা তার মেয়েকে আলী ইবনে আবু তালিবের কাছে বিয়ে দেবার অনুমতি চেয়েছেন। কিন্তু নবীজি বলে দেন, অনুমতি দেবো না, অনুমতি দেবো না, অনুমতি দেবো না। যদি আবু তালিবের ছেলে চায়, তাহলে আমার মেয়েকে তালাক দিয়ে তার মেয়েকে বিয়ে করুক। কারণ, ফাতেমা আমার কলিজার টুকরা। তার সংশয় আমাকে সংশয়ে ফেলে। তার কষ্ট আমাকে কষ্ট দেয়। (বুখারী, হাদিস ৩৭২৯)
ফাতেমা (রা.) হলেন এই উম্মতের নারীদের সর্দার। ফাতিমা (রা.) ইন্তেকাল করেন নবীজির মৃত্যুর ছয় মাস পরেই। তিনি জননী ছিলেন তিনটি ছেলে সন্তানের হাসান, হুসাইন ও মুহসিনে। মুহসিন ছোট থাকতেই মারা যান। এবং দুই মেয়ে সন্তানের উম্মে কুলসুম ও যয়নব। নবীজির জন্য ফাতেমা ছাড়া আর কোনো উত্তরসূরি ছিলো না। তাই তার সম্মানিত বংশধারার বিস্তার হয়েছে শুধু দুই দৌহিত্র হাসান ও হুসাইনের (রা.) মাধ্যমে। হাসান (রা.) সম্পর্কিত বংশধারাকে বলা হয় হাসানি এবং হুসাইন (রা.) সম্পর্কিত বংশধারাকে বলে হুসাইনি। ফাতেমা (রা.)-এর মেয়ে উম্মে কুলসুমকে বিয়ে করেছিলেন ওমর (রা.)। তার ঘরে যায়েদ ও রুকাইয়া নামে দুটি সন্তান হয়। তবে তাদের দুজনের কোনো উত্তরসূরি হয় নি। তারপর তার বিবাহ হয় আউন ইবনে জাফরের সাথে। তার মৃত্যুর পরে বিবাহ হয় আউনের ভাই মুহাম্মদ ইবনে জাফরের সাথে। তিনিও মারা গেলে তাদের আরেক ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে জাফরের সাথে বিবাহ হয় তার। তার স্ত্রী থাকাকালেই তিনি ইন্তেকাল করেন। দ্বিতীয় ভাই মুহাম্মদ ইবনে জাফরের ঔরসের একটি ছোটো মেয়ে ছাড়া এই তিনজন থেকে তার আর কোনো সন্তান হয় নি তার। সুতরাং সেদিক থেকেও তার কোনো ওয়ারিস নেই। আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর পরে তার বোন যয়নব বিনতে ফাতেমাকে বিয়ে করেন। তার কয়েকটি সন্তান হয়। (আল-মাওয়াহিবুল লাদুনিয়্যাহ, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা ৬৬)
ইবরাহিম : ইবরাহিম (রা.) জন্ম গ্রহণ করেন অষ্টম হিজরির যিলহজ মাসে। তার মাতা হলেন মারিয়া কিবতিয়া (রা.)। আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো এক রাতে আমার একটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হলো। আমার পিতৃপুরুষের নামে তার নাম রেখেছিলাম ইবরাহিম। তারপর নবীজি তাকে উম্মে সাইফ-এর কাছে অর্পণ করলেন; যিনি ছিলেন আবু সাইফ নামক এক কামারের স্ত্রী। (মুসলিম, হাদিস ২৩১৫) নবীজি প্রায়ই মদিনার উঁচু ভূমিতে যেতেন, যেখানে ইবরাহিমের দুধ মায়ের বাড়ি। সেখানে গিয়ে ইবরাহিমকে দেখতেন, তাকে চুমু দিতেন, তারপর ফিরে আসতেন।
আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, নবীজির মতো সন্তানদের প্রতি এতোটা মমতাবান আমি আর কাউকে দেখি নি। তিনি বলেন, মদিনার উঁচু এলাকার এক ঘরে ইবরাহিম দুধপান করতো। নবীজি সেখানে যেতেন, আমরাও তার সাথে থাকতাম। তিনি ঘরে প্রবেশ করতেন এবং সেই ঘর তখন ধোঁয়ায় ছেয়ে থাকতো। কারণ তার দুধপিতা ছিলেন লোহার কর্মকার। তিনি ইবরাহিমকে কোলে নিতেন, চুমু দিতেন, তারপর ফিরে আসতেন। (মুসলিম, হাদিস ২৩১৬) অন্য বর্ণনায় আছে, তাকে চুমু দিতেন এবং তার ঘ্রাণ নিতেন। (বুখারী, হাদিস ১৩০৩)
ইবরাহিমের জীবনসীমা দীর্ঘ হয় নি, মারা গেছেন দুধপানের বয়সেই। নবীজি বলেছেন, ইবরাহিম আমার সন্তান, সে স্তন্যপানের সময়েই মারা গেছে। তার দুইজন দুধমা আছেন, যারা জান্নাতে তার দুধপানের মেয়াদ পূর্ণ করবে। (মুসলিম, হাদিস ২৩১৬) ইবরাহিম (রা.)-এর শেষ মুহূর্তগুলোর প্রকৃতি সহীহ বুখারীতে স্পষ্ট বিবৃত হয়েছে। আনাস (রা.) বলেন, আমরা ইবরাহিমকে দেখতে গেলাম। এর খানিক পরেই সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো। নবীজির দু’চোখ গড়িয়ে পানি পড়তে লাগলো। তা দেখে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বললেন, আল্লাহর রাসুল, আপনি কাঁদছেন? তিনি বলেন, হে আউফের ছেলে, এটাই তো দয়া। তারপর বললেন, চোখ অশ্রু ঝরায়, হৃদয় বিষণ্ন হয়। আমার প্রতিপালক যে কথায় সন্তুষ্ট, তা-ই আমরা বলি। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত। (বুখারী, হাদিস ১৩০৩) তার মৃত্যুর দিন সূর্যে গ্রহণ লেগেছিলো। লোকজন বলাবলি করলো, ইবরাহিমের মৃত্যুতে সূর্যগ্রহণ হয়েছে। নবীজি বললেন, চন্দ্রে বা সূর্যে কারো মৃত্যুর কারণে গ্রহণ লাগে না। কারো বেঁচে থাকার কারণেও না। তোমরা গ্রহণ দেখলে নামাজ পড়ো, আর দোয়া করো। (মুসলিম, হাদিস ৯১৫)
মূল— সালেহ আহমদ শামী। ভাষান্তর— মনযূরুল হক। সূত্র— আকিক পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত মুহাম্মদ (সা.) ব্যক্তি ও নবী নামক গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত।