ইংরেজি ভাষাকে কেউ আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে কখনই প্রতিষ্ঠা করে নাই। দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লবকে ৭০ ভাগ আর তৃতীয় শিল্পবিপ্লবকে ৩০ ভাগ কারণ হিসেবে বলা যায়। দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লবের আগে পৃথিবীর সব বড় বড় কলোনিয়াল পাওয়ারদের সমান আধিপত্য ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের একটা বড় ভূমিকা আছে। রেল লাইনের সম্প্রসারণ, ইলেকট্রিসিটির ব্যবহারের ব্যাপকতা আর ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার বড় একটা অগ্রগতি হয় দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লবের সময়।
সেই প্রভাবের ঢেউ লাগে বিশ্বের অন্যান্য দেশে, যে কারণে সে সব দেশেও ইংরেজির প্রবেশ ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা ধীরে ধীরে ইংরেজি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। বড় বড় আবিষ্কার কিংবা আবিষ্কারের আধুনিকায়ন হয় আমেরিকার মাটিতে, যে কারণে আমেরিকামুখি হয়ে পড়ে বিশ্ব। সেই কারণে আমেরিকার ভাষাতে বিশ্ব সায় দিতে থাকে। ১৯৭০ সালের পরে পৃথিবীর প্রযুক্তির ভাষা হয়ে পড়ে গণিত আর ইংরেজি। যে কারণে ইংরেজি ধীরে ধীরে আরও বড় ভাষা হতে থাকে।