কখনো কি ভেবে দেখেছেন একজন মানুষ কতদিন বাঁচতে পারে? পৃথিবীতে সবচেয়ে বয়স্ক মানুষটা কতদিন বেঁচে ছিলো? মানুষ কি তার বেঁচে থাকার বয়স সীমাকে নির্ধারণ করতে পারে? এ প্রশ্নগুলোই মানুষের মনে বারবার ঘুরপাক খায়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক তাদের গবেষণায় জানিয়েছেন যে, মানুষ সর্বোচ্চ ১১৪.৯ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এ গবেষণাটি বৈজ্ঞানিক মহলের নিন্দা কুড়িয়েছে।
ন্যাচার জার্নালে পাঁচটি গবেষক দলের নতুন গবেষণা এ ধারণার উপর চপেটাঘাত হানে। এসব গবেষণায় বলা হয়েছে, মানুষের মারা যাবার সর্বোচ্চ বয়:সীমার বাধ্যবাধকতার কোনো দৃষ্টান্ত নেই। আর নিদেনপক্ষে এটা বলা যায় যে, মানুষ চাইলে ১১৫ বছরের বেশিকালও বাঁচতে পারে।
বয়স নিয়ে এ গবেষণাকে সবচাইতে বাজে গবেষণা আখ্যা দিয়ে জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউটের বয়স বিশেষজ্ঞ প্রফেসর জিম ভাওপেল বলেছেন, সর্বোচ্চ আয়ু সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ বলে যে, এর কোনো ধরাবাঁধা সীমা নেই। বর্তমানে যেসব প্রমাণ রয়েছে তা বলে যে, যদি বেঁচে থাকার কোনো বয়স সীমা থাকে তা হল ১২০ বছরের উপর, এটা আরো বেশিও হতে পারে। আর সম্ভবত বয়সের এরকম কোনো সীমা বাঁধা নেই।
মনট্রিলের ম্যাকগ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সিগফ্রিড হেকিমি বলেছেন, বিভিন্ন কাজের সঙ্গে তুলনামূলক একটি তথ্য আপনি দেখাতে পারেন। আর সেটা সর্বোচ্চ সীমা হতে পারে না।
তিনি বলেন, মানুষের বয়সসীমা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২,৩০০ সালে একজন মানুষ ১৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেভাবে আয়ুষ্কাল বাড়ছে তা হঠাৎ করেই ১১৫ বছরের সীমায় এসে থেমে যেতে পারে না।