হজরত মূসা (আ.)-এর সম্প্রদায়ের ভাষা ছিল ইবরানি তাই সে ভাষায় তাওরাত কিতাব নাজিল করা হয়েছে। হজরত দাউদ (আ.)-এর সম্প্রদায়ের ভাষা ছিল ইউনানি তাই যাবুর সে ভাষায় নাজিল করা হয়েছে। হজরত ঈসা (আ.)-এর উম্মতের ভাষা ছিল সুরিয়ানি তাই এ ভাষায় ইঞ্জিল কিতাব নাজিল করা হয়েছে। বিশ্ব নবী (সা.)-এর উম্মতের মাতৃভাষা ছিল আরবি তাই কোরআন তার মাতৃভাষা আরবিতে নাজিল করা হয়েছে।
মাতৃভাষার শিক্ষা বিকাশে অকুণ্ঠ সমর্থনে মহান আল্লাহ সহজ, সুন্দর ও সাবলীল ও পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য সংশ্লিষ্ট জাতির ভাষাভাষী করে রাসূলদের পাঠানো হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়’ বানান। (সূরা ইবরাহিম-৪)
ভাষা শুদ্ধভাবে বলা ও লিখতে পারা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল (সা.) বিশুদ্ধ মাতৃভাষায় কথা বলতেন। তার আলোচনা এবং বাচনভঙ্গি ছিল অতুলনীয়। তিনি ছিলেন ভাষা ও সাহিত্যে সর্বাধিক নৈপুণ্যের অধিকারী এবং আরবের সবচেয়ে বিশুদ্ধ ভাষী। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুন্দর বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলার তাওফিক দান করুক আমিন।