চুম্বককে আদার সাথে ঘষলে তা আর লোহাকে আকর্ষণ করে না, এ ধরণের ভুলভাল তথ্য বছরের পর বছর ধরে প্রচলিত আর মানুষ বিশ্বাসও করে নিচ্ছে। ঠিক যেমন আগাছা আর অপ্রয়োজনীয় উদ্ভিদের বিকাশ হয় সবচেয়ে দ্রুত!” – উইলিয়াম গিলবার্ট
এরকম আরো অনেক চুম্বক সম্পর্কিত প্রচলিত বানোয়াট ও ভ্রান্ত তথ্যের রহস্য উন্মোচিত হয় উইলিয়াম গিলবার্টের ‘ডি ম্যাগনেট’ প্রকাশের সাথে সাথে। ১৬০০ সালে প্রকাশিত এই বইয়ের ইংরেজি অনুবাদের পুরো নাম ‘অন দ্য ম্যাগনেট অ্যান্ড ম্যাগনেটিক বডিজ অ্যান্ড দ্য গ্রেট ম্যাগনেট অব দ্য আর্থ‘। খুব সম্ভবত ১৫৮০ এর দিক থেকে গিলবার্ট তার গবেষণা শুরু করেন এবং ডি ম্যাগনেট লেখার কাজ শুরু করেন। অর্থাৎ তার এই গবেষণা কর্ম ছিল ২০ বছরের পরিশ্রমের ফসল! অনেকেই একে পৃথিবীর প্রথম বৃহত্তর পরিসরে পরীক্ষামূলক গবেষণা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার পরীক্ষার ধরণ এমন ছিল যে প্রকৃতিই তাকে নানা রকম প্রশ্ন করতো এবং একই সাথে সঠিক উত্তর দিত। এজন্য তাকে গ্যালিলিওর পাশাপাশি পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।