বছরে দু’বার ইলিশ প্রজনন করে থাকে।
অবশেষে আবিষ্কার হল ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য৷ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মহম্মদ সামছুল আলমের নেতৃত্বে শনিবার একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে৷ টানা দু’বছর গবেষণার পর ইলিশের জীবন রহস্যের হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে এদিন গবেষণাপত্রে দাবি করেন আলম৷
কীভাবে চলল সন্ধান? জানা গিয়েছে, প্রথমে বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে পূর্ণবয়স্ক ইলিশ মাছ সংগ্রহ করেন তাঁরা৷ এরপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিস জেনেটিক্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি ও পোল্ট্রি বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জিনোমি ল্যাবরেটরি থেকে সংগৃহীত ইলিশের ডিএনএ প্রস্তুত করা হয়। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের জিনউইজ জিনোম সিকোয়েন্সিং সেন্টারে সংগৃহীত ইলিশের ডিএনএ’র পরীক্ষা করা হয়৷ এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সার্ভার কম্পিউটারে বিভিন্ন বায়োইনফরম্যাটিক্স প্রোগ্রাম ব্যবহার করে সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্য থেকে ইলিশের জীবনহস্য আবিষ্কার করা হয়৷
গবেষক জানান, ইলিশের ৭৬ লাখ ৮০ হাজার নিউক্লিওটাইড রয়েছে৷ যা মানুষের কোষের প্রায় এক চতুর্থাংশ৷ তবে প্রজননের আগে পূর্ণাঙ্গ সামুদ্রিক ইলিশের কোষের সংখ্যা জানার কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি৷ বর্তমানে ইলিশের পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ সিকোয়েন্স জানার মাধ্যমে অসংখ্য অজানা প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে খুব সহজেই৷
এদিনের এই গবেষণায় জানানো হয়েছে, বছরে দু’বার ইলিশ প্রজনন করে থাকে। এই দুই সময়ের ইলিশের জীবনচক্রে কোনও পার্থক্য থাকে কি না, তাও জানতে শুরু হয়েছে নয়া গবেষণা৷ এমনকী কোনও নির্দিষ্ট নদীতে জন্ম নেওয়া খোক ইলিশ সাগরে ফিরে যাওয়ার পর প্রজননের জন্য ফের একই নদীতেই ফিরে আসে কি না সেসব তথ্যও জানা যাবে এই নয়া গবেষণায়৷