কারক শব্দটির ব্যাকরণগত অর্থ হলো- যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। বাংলা ব্যাকরণ শাস্ত্রে, কারক বলতে মূলত ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সম্পর্ককে নির্দেশ করে। কারকের সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যুক্ত হয়। বাক্যস্থ কোনো পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলে শুধুমাত্র তখনই কারক হবে।
প্রকারভেদ
বাংলা ব্যাকরণের ছয়টি কারক। লক্ষ্যণীয়, এখানে "সম্প্রদান কারকের" কথা বলা হয়েছে, যা বর্তমানে কোনো স্বতন্ত্র কারক নয়।[১]
আধুনিক বাংলা ব্যাকরণে কারক ছয় প্রকার:
কর্তৃকারক
কর্ম কারক
করণ কারক
অপাদান কারক
অধিকরণ কারক এবং
সম্বন্ধ কারক[১]
পূর্বে সম্প্রদান কারককে কারকের একটি স্বতন্ত্র শাখা হিসাবে ধরা হলেও বর্তমানে তা কর্ম কারকের অংশ হিসাবে বিবেচিত।
ছয়টি কারকের উদাহরণ
নিম্নোক্ত বাক্যসমূহে ছয়টি কারক উপস্থাপন করা হলো:
বেগম সাহেবা প্রতিদিন ভাঁড়ার থেকে নিজ হাতে গরিবদের চাল দিতেন।
এখানে-
বেগম সাহেবা - ক্রিয়ার সাথে কর্তৃসম্বন্ধ
চাল - ক্রিয়ার সাথে কর্ম সম্বন্ধ
হাতে - ক্রিয়ার সাথে করণ সম্বন্ধ
গরিবদের - ক্রিয়ার সাথে সম্প্রদান (কর্ম) সম্পর্ক
ভাঁড়ার থেকে - ক্রিয়ার সাথে অপাদান সম্পর্ক
প্রতিদিন - ক্রিয়ার সাথে অধিকরণ সম্পর্ক
দানবীর রাজা হর্ষবর্ধন প্রয়াগের মেলায় রাজভাণ্ডার থেকে স্বহস্তে দরিদ্র প্রজাদের অর্থসম্পদ বিতরণ করতেন।
এখানে-
দানবীর রাজা হর্ষবর্ধন - ক্রিয়ার সাথে কর্তৃসম্বন্ধ
অর্থসম্পদ - ক্রিয়ার সাথে কর্ম সম্বন্ধ
স্বহস্তে - ক্রিয়ার সাথে করণ সম্বন্ধ
দরিদ্র প্রজাদের - ক্রিয়ার সাথে সম্প্রদান (কর্ম) সম্পর্ক
রাজভাণ্ডার থেকে - ক্রিয়ার সাথে অপাদান সম্পর্ক
প্রয়াগের মেলায় - ক্রিয়ার সাথে অধিকরণ সম্পর্ক
ইতিহাস
এটা অনেকেই মেনে নিয়েছেন যে প্রাচীন গ্রিকদের তাদের নিজেদের ভাষার বিভিন্ন ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ক ও বাক্যে এর ব্যবহার সম্মন্ধে বিস্তৃত ধারণা ছিল। গ্রিক কবি আনাক্রিয়ন এর একটি পুস্তিকা থেকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। তবুও এটা সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয়, যে আধুনিক ব্যাকরণে কারক বলতে যে বিষয়টিকে বোঝানো হয়, তা সম্পর্কে প্রাচীন গ্রিকরা পুরাপুরি জানতো। "ব্যাকরণের কারক"কে সর্বপ্রথম ব্যাকরণের একটি স্বতন্ত্র অংশ হিসাবে বৈরাগ্যদর্শনবাদীরা স্বীকৃতি দিয়েছিল, যা তারা জানতে পেরেছিল প্রাচীন গ্রিসের পেরিপেটিক দর্শনালয়ের কিছু দার্শনিকদের কাছ থেকে।[২][৩]
নামের ব্যুৎপত্তি ও সংজ্ঞা
কারক শব্দটি প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার *কাড ধাতু থেকে এসেছে[৪], যার অর্থ হলো- "যা ক্রিয়া সম্পাদন করে"। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে।[১]
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহে কারক
মোটামুটি সকল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহর ব্যাকরণেই কারক বিদ্যমান। তবে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলোর থেকে ভারত উপমহাদেশের ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহতে কারকের বৈশিষ্ট্য বেশি ফুটে ওঠে। এর কারণ অত্যাধিক হারে বিভক্তি ও অনুসর্গের ব্যবহার। বাংলাতেও এর ব্যাতিক্রম নয়। ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহের অধিকাংশ কারক সংস্কৃত হতে আগত।
বিভক্তি
মূল নিবন্ধ: বিভক্তি
বাংলা কারক সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে বিভক্তি সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। কারণ কারকের সম্পর্ক বোঝাতে নামপদের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়। বিভক্তিগুলো ক্রিয়াপদের সাথেও নামপদের সম্পর্ক স্থাপন করে।[১]
০ (শূন্য) বিভক্তি (অথবা অ-বিভক্তি), এ (য়), তে (এ), কে, রে, র (এরা) - এ কয়টিই খাঁটি বাংলা শব্দ বিভক্তি। এছাড়া বিভক্তি স্থানীয় কয়েকটি অব্যয় শব্দও কারক-সম্বন্ধ নির্ণয়ের জন্য বাংলায় প্রচলিত রয়েছে। যেমন - দ্বারা, দিয়ে, হতে, থেকে ইত্যাদি।
নিচের ছকের বিভক্তিগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে নামপদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকে।
বিভক্তি
(সংস্কৃত) একবচন বহুবচন
প্রথমা ০, অ, এ (য়), তে, এতে। রা, এরা, গুলি (গুলো), গণ।
দ্বিতীয়া ০, অ, কে, রে (এরে), এ, য়, তে। দিগে, দিগকে, দিগেরে, *দের।
তৃতীয়া ০, অ, এ, তে, দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক। দিগের দিয়া, দের দিয়া, দিগকে দ্বারা, দিগ কর্তৃক, গুলির দ্বারা, গুলিকে দিয়ে, *গুলো দিয়ে, গুলি কর্তৃক, *দের দিয়ে।
চতুর্থী দ্বিতীয়ার মতো দ্বিতীয়ার মতো
পঞ্চমী এ (য়ে, য়), হইতে, *থেকে, *চেয়ে, *হতে। দিগ হইতে, দের হইতে, দিগের চেয়ে, গুলি হইতে, গুলির চেয়ে, *দের হতে, *দের থেকে, *দের চেয়ে।
ষষ্ঠী র, এর। *দিগের, দের, গুলির, গণের, গুলোর
সপ্তমী এ (য়), তে, এতে। দিগে, দিগেতে, গুলিতে, গণে, গুলির মধ্যে, গুলোতে, গুলোর মধ্যে।
তারকা চিহ্নিত (*) বিভক্তিগুলো এবং বন্ধনীতে লিখিত শব্দ চলিত ভাষায় ব্যবহৃত হয়।
দ্রষ্টব্য: বিভক্তি চিহ্ন স্পষ্ট না হলে সেখানে শূন্য বিভক্তি আছে মনে করা হয়।
কর্তৃকারক
মূল নিবন্ধ: কর্তৃকারক
প্রশ্ন: কে, কারা
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে “ক্রিয়ার কর্তা” বা “কর্তৃকারক” বা "কর্তা কারক" বলে। ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্তৃকারক।
উদাহরণ:
খোকা বই পড়ে।
মেয়েরা ফুল তোলে।
আমরা নদীর ঘাট থেকে রিকশা নিয়েছিলাম।
কর্ম কারক
মূল নিবন্ধ: কর্ম কারক
প্রশ্ন: কি, কাকে
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে “কর্ম কারক” বলে। ক্রিয়ার সঙ্গে 'কি' বা 'কাকে' দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্ম কারক।
উদাহরণ:
ডাক্তার ডাকো।
তাকে বলো।
শিক্ষককে জানাও।
ভিখারিকে ভিক্ষা দাও।
সম্প্রদান কারক (নিমিত্ত কারক)
মূল নিবন্ধ: সম্প্রদান কারক
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী “সম্প্রদান কারক” বলে। একে “নিমিত্ত কারক”-ও বলা হয়। এখানে লক্ষণীয় যে, বস্তু নয় ব্যক্তিই সম্প্রদান কারক। ক্রিয়াকে কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা সম্প্রদান কারক। স্বত্বত্যাগ না করে কোন জিনিস কাউকে উদ্দেশ্য করে দিলে সেটি কর্মকারক হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হয় না। এই বিভ্রান্তি এড়াতে বর্তমানে সম্প্রদান কারককে কর্ম কারকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উদাহরণ:
ভিখারিকে ভিক্ষা দাও। (স্বত্বত্যাগ করে)
বেলা যে পড়ে এল, জলকে চল।
করণ কারক
মূল নিবন্ধ: করণ কারক
প্রশ্ন: কিসের দ্বারা, কি দ্বারা
'করণ' শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা উপায়কেই “করণ কারক” বলে। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কীসের দ্বারা' বা 'কী দ্বারা' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তাই করণ কারক।
উদাহরণ:
নীরা কলম দিয়ে লেখে।
'জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়।'
চাষিরা ধারালো কাস্তে দিয়ে ধান কাটছে।
অপাদান কারক
মূল নিবন্ধ: অপাদান কারক
প্রশ্ন: কি হতে, কোথা হতে
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই “অপাদান কারক” বলে।
উদাহরণ:
জমি থেকে ফসল পাই।
গাছ থেকে পাতা পড়ে।
সুক্তি থেকে মুক্তো মেলে।
ঢাকা থেকে কলকাতা অনেক দূর।
অধিকরণ কারক
মূল নিবন্ধ: অধিকরণ কারক
প্রশ্ন: কোথায়, কখন, কিসে
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে “অধিকরণ কারক” বলে।
উদাহরণ:
বাড়িতে কেউ নেই।
বসন্তে কোকিল ডাকে।
সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়।
বাবা বাড়ি আছেন।
বিকাল পাঁচটায় অফিস ছুটি হবে।
সম্বন্ধ পদ
যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সম্পর্ক নির্দেশ করে, তাকে "সম্বন্ধ পদ" (বা, "সম্বন্ধ কারক") বলে। ক্রিয়াপদের সঙ্গে এর সম্পর্ক পরোক্ষ। পূর্বে কারকে শ্রেণিভুক্ত না করা হলেও বর্তমানে একটি কারক হিসাবে বিবেচিত হয়, কারণ ক্রিয়ার সঙ্গে এর সম্পর্ক বিদ্যমান।
বিভক্তি
(ক) সম্বন্ধ পদে 'র' বা 'এর' বিভক্তি (ষষ্ঠী বিভক্তি) যুক্ত হয়ে থাকে। যথা: আমি + র = আমার (ভাই), খালিদ + এর = খালিদের (বই) ইত্যাদি।
(খ) সময়বাচক অর্থে সম্বন্ধ পদে কার> কের বিভক্তি যুক্ত হয়। যথা-
আজি + কার = আজিকার > আজকের (কাগজ)।
পূর্বে + কার = পূর্বেকার (ঘটনা)।
কালি + কার = কালিকার > কালকার > কালকের।
কিন্তু 'কাল' শব্দের উত্তর শুধু 'এর' বিভক্তিই যুক্ত হয়। যেমন- কাল + এর = কালের। উদাহরণ- সে কত কালের কথা।
প্রকারভেদ
সম্বন্ধ পদ বহু প্রকারের হতে পারে। যেমন:
(ক) অধিকরণ সম্বন্ধ: রাজার রাজ্য, প্রজার জমি।
(খ) জন্ম-জনক সম্বন্ধ: গাছের ফল, পুকুরের মাছ।
(গ) কার্যকারণ সম্বন্ধ: অগ্নির উত্তাপ, রোগের কষ্ট।
(ঘ) উপাদান সম্পর্ক: রূপার থালা, সোনার বাটি।
(ঙ) গুণ সম্বন্ধ: মধুর মিষ্টতা, নিমের তিক্ততা।
(চ) হেতু সম্বন্ধ: ধনের অহঙ্কার, রূপের দেমাক।
(ছ) ব্যাপ্তি সম্বন্ধ: রোজার ছুটি, শরতের আকাশ।
(জ) ক্রম সম্বন্ধ: পাঁচের পৃষ্ঠা, সাতের ঘর।
(ঝ) অংশ সম্বন্ধ: হাঁতির দাঁত, মাথার চুল।
(ঞ) ব্যবসায় সম্বন্ধ: পাটের গুদাম, আদার ব্যাপারী।
(ট) ভগ্নাংশ সম্বন্ধ: একের তিন, সাতের পাঁচ।
(ঠ) কৃতি সম্বন্ধ: নজরুলের 'অগ্নিবীণা', মাইকেলের 'মেঘনাদবধ কাব্য'।
(ড) আধার-আধেয় সম্বন্ধ: বাটির দুধ, শিশির ওষুধ।
(ঢ) অভেদ সম্বন্ধ: জ্ঞানের আলো, দুঃখের দহন।
(ণ) উপমান-উপমেয় সম্বন্ধ: ননীর পুতুল, লোহার শরীর।
(ত) বিশেষণ সম্বন্ধ: সুখের দিন, যৌবনের চাঞ্চল্য।
(থ) নির্ধারণ সম্বন্ধ: সবার সেরা, সবার ছোট।
(দ) কারক সম্বন্ধ:
(১) কর্তৃ সম্বন্ধ - রাজার হুকুম।
(২) কর্ম সম্বন্ধ: প্রভুর সেবা, সাধুর দর্শন।
(৩) করণ সম্বন্ধ: চোখের দেখা, হাতের লাঠি।
(৪) অপাদান সম্বন্ধ: বাঘের ভয়, বৃষ্টির পানি।
(৫) অধিকরণ সম্বন্ধ: ক্ষেতের ধান, দেশের লোক।
সম্বোধন পদ
'সম্বোধন' শব্দটির অর্থ আহ্বান। যাকে সম্বোধন বা আহ্বান করে কিছু বলা হয়, তাকে সম্বোধন পদ বলে। সম্বোধন পদ বাক্যের অংশ। কিন্তু বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ থাকে না বলে, সম্বোধন পদ কারক নয়।
সম্বোধন পদের নিয়মাবলি
অনেক সময় সম্বোধন পদের পূর্বে ওগো, ওরে, হে, অয়ি প্রভৃতি অব্যয়বাচক শব্দ বসে সম্বোধনের সূচনা করে। যেমন: 'ওগো, তোরা জয়ধ্বনি কর।' 'ওরে, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।' 'অয়ি নির্মল ঊষা, কে তোমাকে নিরমিল?'
অনেক সময় সম্বন্ধসূচক অব্যয়টি কেবল সম্বোধন পদের কাজ করে থাকে।
সম্বোধন পদের পরে অনেক সময় বিস্ময়সূচক চিহ্ন দেওয়া হয়। এই ধরনের বিস্ময়সূচক চিহ্নকে সম্বোধন চিহ্ন বলা হয়ে থাকে। কিন্তু আধুনিক বাংলা নিয়মে সম্বোধন চিহ্ন স্থানে কমা (,) চিহ্নের প্রয়োগই বেশি হয়। যেমন - ওরে খোকা, যাবার সময় একটা কথা শুনে যাস্।
ব্যতিক্রম
বাংলায় এমন অনেক বাক্য রয়েছে যেখানে ক্রিয়াপদ নেই। যেমন-
মাঠে মাঠে অজস্র ফসল।
ছোট ছোট ডিঙি নৌকাগুলো নদীতে ভাসমান।
এ জাতীয় ক্রিয়াহীন অনেক বাক্য বাংলায় রয়েছে। ক্রিয়াপদ নেই বলে এই বাক্যগুলোর অন্তর্গত নাম শব্দগুলোর কারকও নেই। সেজন্য বলা হয়[কে?] বাংলা বাক্য কারক-প্রধান নয়। তবে বিভক্তি ছাড়া বাংলা বাক্য গঠিত হতে পারে না বলে বাংলা বাক্য বিভক্তি-প্রধান।