টাকাই বলুন আর রুপি/রুপিয়া বলুন, শব্দগুলি এসেছে সংস্কৃত থেকে। শের শাহ সুরি প্রচলিত করেছিলেন রুপিয়া। রৌপ্য দ্বারা নির্মিত বলেই এমন নাম।
শের শাহ রুপিয়া চালু করার আগে ভারতে প্রচলিত রৌপ্য ও তাম্র মুদ্রা পরিচিত ছিল তঙ্কা (সংস্কৃত শব্দ) বা টঙ্কা নামে। টাকা সে শব্দেরই অপভ্রংশ। শের শাহ রূপিয়া চালু করার পরেও পূর্বীয় ভারতবর্ষে রুপিয়া টাকা বা টঙ্কা নামেই পরিচিত থাকল। এবং আজও আছে। শুধু পরিচিতই নয়, রুপিয়ার বাংলা নামটি স্বীকৃত। নীচের স্ক্যান করা ছবিটি দেখুন, ভারতীয় দশ টাকার নোটের ছবি।
দেখুন, ১৩ ধরনের হরফে ১৫ টি ভাষায় (হিন্দি আর ইংরেজির পাশাপাশি) লেখা রয়েছে। তাই, কোনও ভাষায় রুপি, কোনও ভাষায় রূপয়ে, কোনও ভাষায়, রুপিহা, কোনও ভাষায় রূপা, আবার কোনও ভাষায় টাকা বা টকা বা টঙ্কা বলা হয়।
আর ভারত এক সার্বভৌম গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্র। সে দেশের বিভিন্ন ভাষা ভাষী মানুষকেই ঠিক করতে দিন তারা তাদের মুদ্রা কে টাকা বলবে না রুপি।