You can also earn money by answering questions on this site Find out the details

Categories

Sister Links: -- Nishiddho--BDLove24--Cerapatabd ....
140 views
in স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা by Earnings : 7.67 Usd (6,723 points)

1 Answer

0 like 0 dislike
আমাদের দেশে জলাতঙ্ক রোগে বছরে ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। ভাইরাসজনিত র‌্যাবিস জীবাণু দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হলে যে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে বলা হয় জলাতঙ্ক রোগ। এটি একটি মারাত্মক রোগ। যা একবার হলে রোগীকে বাঁচানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। বা বাঁচানো সম্ভব হয় না। তবে বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। কুকুরে কামড়ানোর সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ মতে ভ্যাকসিন নেয়া শুরু করলে ভয়ের কিছু নেই। কুকুর, শেয়াল, বিড়াল, বানর, গরু, ছাগল, ইঁদুর, বেজি (নেউল), র‌্যাবিস জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং মানুষকে কামড়ালে এ রোগ হয়। এসব জীব জানোয়ারের মুখের লালায় র‌্যাবিস ভাইরাস জীবাণু থাকে। এ লালা পুরানো ক্ষতের বা দাঁত বসিয়ে দেয়া ক্ষতের বা সামান্য আঁচড়ের মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শে আসলে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়। তবে মনে রাখবেন কুকুরে কামড়ালেই জলাতঙ্ক রোগ হয় না। যদি কুকুরটির বা কামড়ানো জীবটির লালায় র‌্যাবিস জীবাণু না থাকে। আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয় কুকুরের কামড়ে।
কুকুর কামড়ালে কি করবেন : কুকুরে কামড়ানোর সাথে সাথে ক্ষতস্থানটি সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে দিতে হবে। অথবা পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। অথবা ৪০-৭০% অ্যালকোহল, পোভিডিন আয়োডিন দিয়ে ক্ষতস্থানটিকে ভালো করে ভিজিয়ে দিতে হবে। যাতে ক্ষতিকর ভাইরাস ক্ষত স্থানে লেগে থাকলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তবে কুকুরে কামড়ানোর সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অথবা নিকটবর্তী হাসপাতালে বা ক্লিনিকে নিতে হবে। বাজারে রাবিপুর নামে ইনজেকশন পাওয়া যায়। তা ডাক্তারের পরামর্শে রেবিক্স ভিস্যি নিতে হয়। প্রথম দিন দেয়ার পর ৩, ৭, ১৪, ৩০ ও ৯০ তম দিনগুলোতে দিতে হয়। কুকুর কামড়ানোর পরও টিকা নিয়ে মানুষ বেঁচে যেতে পারে। আবার যারা এসব প্রাণী নিয়ে কাজ করেন তারা সতর্কতামূলক অন্যান্য টিকার মতো আগেই টিকা দিয়ে রাখবেন, এটাই নিয়ম। তবে মনে রাখবেন আপনার চিকিৎসকই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার উপদেশ দিবেন।
কীভাবে বুঝবেন কুকুরটি জীবাণুতে আক্রান্ত : দংশিত কুকুরটিকে হত্যা না করে ১০ দিন বেঁধে চোখে চোখে রাখতে হবে। যদি কুকুরটি ১০ দিনের মধ্যে পাগল না হয় বা মারা না যায় তবে বুঝতে হবে কুকুরটি জলাতঙ্ক রোগের র‌্যাবিস জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত নয়। এতে কামড়ানো মানুষটিকে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। আর যদি কুকুরটি অসুস্থ হয়ে যায় বা পাগল হয়ে যায় অথবা মারা যায় অথবা নিখোঁজ হয়ে যায় তাহলে কামড়ানো মানুষটির চিকিৎসা করানো অবশ্যই দরকার। তাছাড়া নিম্নলিখিত লক্ষণ প্রকাশ পেলে বুঝতে হবে কুকুরটি জলাতঙ্ক জীবাণুতে আক্রান্ত : কুকুরটি পাগল হয়ে গেলে * মুখ থেকে অত্যধিক লালা নিঃসৃত হলে, * উদ্দেশ্যহীনভাবে ছোটাছোটি করলে বা পাগলামী করলে, * ঘন ঘন ঘেউ ঘেউ করলে, * সামনে যা কিছু পায় তাতেই কামড়ানোর প্রবণতা দেখালে। কোনো কোনো কুকুরের ক্ষেত্রে চুপচাপ থাকে। বাহিরের আলো সহ্য করতে পারে না। তাই ঘরের কোনে অন্ধকারে ঘুমিয়ে থাকে। তবে সাধারণভাবে আক্রান্ত কুকুরটি ১০ দিনের মধ্যে মারা যায়। * খাবার জল গ্রহণ করে না।
রোগটি কি ছোঁয়াছে : জলাতঙ্ক রোগটি ছোঁয়াছে। এ রোগের জীবাণু র‌্যাবিস ভাইরাস প্রাণীর লালায় বাস করে। তাই কুকুরে কামড়ালে ক্ষতের রক্তের মাধ্যমে এ ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করে এবং রোগটি দেখা দেয়। শরীরের যেকোন অংশে রক্তের সংস্পর্শে আসলেই এটি সংক্রমিত হয়।
প্রতিরোধের উপায় : পোষা কুকুরটিকে চিকিৎসকের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দিতে হবে। * রাস্তার বেওয়ারিস কুকুরগুলো মেরে ফেলতে হবে। পোষা কুকুরটি গলায় ব্যাল্ট পরিয়ে রাখতে হবে। জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হলে বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই সতর্কতা অবলম্বন করা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করাই একমাত্র পথ। মানব দেহে এ ভাইরাসটি প্রবেশ পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ১ থেকে ৩ মাস সময় লেগে যেতে পারে। কোনো কোনো সময় ১ বছর সময় লেগে যায়।
টিকার আবিষ্কার : কুকুর দ্বারা কামড়ানো জলাতঙ্ক রোগগ্রস্ত মানুষকে এ রোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য জীব বিজ্ঞানী লুই পাস্তর ১৮৮৫ সালে ৬ জুলাই জোসেফ মিয়েস্টার নামক এক বালকের দেহে এই টিকা সর্ব প্রথম ব্যবহার করেন এবং বালকটি ভালো হয়ে ওঠে। তারপর হতে সারা বিশ্বে সফলতার সাথে এ টিকা এ রোগের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
by Earnings : 7.67 Usd (6,723 points)

Related questions

-- Payment Method & Thresholds--Referral Program--Help--
-- FAQ --- Terms --DMCA ---Contact Us --
Language Version--English --Bengali ---Hindi ---
...