হোস্টিং মূলত ২ ধরনের । চলুন বিস্তারিত জেনে নেইঃ-
১। ফ্রি হোস্টিংঃ (যা আপনি ফ্রি তে ব্যবহার করতে পারবেন)
বিভিন্ন হোস্টিং কো’ম্পানি আছে যারা সাধারনত ফ্রি ডোমেইন ও হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে । তবে আপনি যদি আপনার ব্যবসায়িক/ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটটিকে কোনো ফ্রী হোস্টিং এ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটির Security, Unlimted Bandwidth, Email Account, Loading Speed ইত্যাদি ঠিকঠাক ভাবে পাবেন না এবং ওয়েবসাইটে যদি প্রচুর ভিসিটর থাকে, তাহলে ফ্রী হোস্টিং কোম্পানিটি আপনাকে সাসপেন্ড করবে । কেননা ফ্রী হোস্টিং শুধু পরীক্ষামূলক ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় ।
২। প্রিমিয়াম হোস্টিংঃ ( যা আপনাকে টাকা দিয়ে কিনে ব্যবহার করতে হবে)
প্রিমিয়াম হোস্টিং সাধারনত চার প্রকার। যেমনঃ-
শেয়ারড হোস্টিং (Shared Hosting)
ভিপিএস হোস্টিং (VPS = Virtual Private Server, Hosting)
ডেডিকেটেড হোস্টিং/ সার্ভার (Dedicated Hosting/Server)
রিসেলার হোস্টিং (Reseller Hosting)
শেয়ারড হোস্টিং (Shared Hositng):
শেয়ারড হোস্টিং মানেই হচ্ছে এক পিসিতে একটা হার্ড ডিস্ক থাকবে সেই হার্ড ডিস্ক এর সব স্পেস শেয়ার করা হয় অনেকে হোস্টিং ইউজারদের মধ্যে। ধরুন,আপনাুলত ২জিবি হোস্টিং স্পেস লাগবে আপনার ওয়েব সাইট চালাতে। সেক্ষেত্রে আপনি একটা কোম্পানির কাছ থেকে ১ বছরের মেয়াদে সেই ২ জিবি হোস্টিং স্পেস কিনলেন, ওই হোস্টিং স্পেস এ আপনার সাইটের সব ডাটা বা ইনফো ( Web content, Images, Videos) রাখতে পারবেন । যে কোম্পানির থেকে কিনেছিলেন মূলত সেই কোম্পানি তার পিসির একটা হার্ড ডিস্ক থেকে আপনাকে ২ জিবি ভাড়া দিছে বাকি স্পেস কিন্তু আপনার মতো আরো অনেকের কাছে পাকেজ আকারে বিক্রি করবে। আর এটাই হলো শেয়ারড হোস্টিং (Shared Hosting).
ভিপিএস হোস্টিং (VPS Hosting):
VPS এর ফুল ফর্ম হলো (Virtual Private Server)। যখন একটা Computer কে বিশেষ কোন Software বা অন্য কিছু দিয়ে ভাগ করে অনেক গুলো Server তৈরি করা হয় তখন প্রত্যেক ভাগকে এক একটা VPS বলে। আশা করি বুঝতে পারছেন।
ভিপিএস হোস্টিং (VPS Hosting) সাধারণত শেয়ারড হোস্টিং (Shared Hositng) থেকে আলাদা কারণ এখানে হোস্টিং কোম্পানি আপনাকে আলাদা Ram, Hard Disk, CPU দিয়ে থাকে। মানে আপনার বাসার Personal Computer এর মত। মূলত তারা আপনার জন্য একটা আলাদা Computer এর ব্যবস্থা করে রেখে দিবে। তার মানে আপনার সাইট বেশি নিরাপদ থাকে এবং স্পিড ও ভালো থাকে। তারমানে এই না যে শেয়ারড হোস্টিং (Shared Hositng) নিরাপদ না, শেয়ারড হোস্টিং ও নিরাপদ তবে তা ভিপিএস থেকে একটু কম।
ডেডিকেটেড হোস্টিং/ সার্ভার (Dedicated Hosting/Server):
সহজ ভাষায় বললে যখন একটা কম্পিউটার পুরটাই একটা সার্ভার হিসাবে ব্যবহার করা হয় তখন এটাকে বলে ডেডিকেটেড সার্ভার। আর এই ডেডিকেটেড সার্ভার এর হোস্টিং কে আমরা বলি ডেডিকেটেড হোস্টিং । ডেডিকেটেড সার্ভার অনেক ব্যয়বহুল। যাদের ওয়েবসাইট অনেক বড় এবং বেশি নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় তাদের জন্য এই হোস্টিং সার্ভিস টি ভালো।
ডেডিকেটেড হোস্টিং/ সার্ভার আবার দুই প্রকারঃ
Managed Hosting
Unmanaged Hosting
রিসেলার হোস্টিং (Reseller Hosting):
রিসেলার হোস্টিং শেয়ার্ড হোস্টিং এর মতই। বিভিন্ন হোস্টিং প্রোভাইডার এর কাছে থেকে কিনে যারা মার্কেটে সেল করে সেই হোস্টিং গুলোই মূলত রিসেলার হোস্টিং।
ধরুন, আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার এবং আপানার বেশ কিছু নিজস্ব ক্লায়িন্ট আছে যাদের ডোমেইন এবং হোস্টিং প্রয়োজন। তারা আপনাকে একটি ভাল মানের ডোমেইন এবং হোস্টিং প্রোভাইডার এর সার্ভিস নিয়ে তার ওয়েবসাইটের ডিজাইন করতে বলল । সে ক্ষেত্রে আপনি নিজেই রিসেলার প্যাকেজ কিনে নিজের মত প্যাকেজ তৈরি করে আপানার ক্লায়িন্ট এর কাছে বিক্রি করলেন।
আশা করি পোস্ট টি পরার আপনি হোস্টিং এর ধরন ও প্রকারভেদ সম্পর্কে বুজতে সক্ষম হয়েছেন । পরিশেষে, লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার সুচিন্তিত মতামত আমাদের একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।