১৯৬০ সালের ২৭ জুলাই নাগা পিপল্স কনভেনশনের সঙ্গে ১৬ দফা চুক্তিতে গঠিত হয় নাগাল্যান্ড রাজ্য। কিন্তু ফিজো তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। মায়ানমারের নাগাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে খাপলাং, মুইভা, আইজ্যাক সু কে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালাতে থাকেন। ১৯৬৮ সালে মুইভা এনএনসি প্রতিনিধিদল নিয়ে চিনে যান। ১৯৭৫ সালে হয় শিলং চুক্তি। মুইভা, সু, খাপলাং সেই আপোস না মেনে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেন। তার ৫ বছর পরে তৈরি হয় এনএসসিএন। যা ভারতে ‘মাদার অব ইনসার্জেন্সি’ (সন্ত্রাসের সুচনা) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ওই তিন নেতার মধ্যে মুইভা ছিলেন মণিপুরের টাংখুল। সু নাগাল্যান্ডের সেমা। খাপলাং মায়ানমারের নাগা। দলটিতে ভারতীয়, মায়ানমার আর মণিপুরের নাগাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব তখন থেকেই শুরু। এখনও তা বর্তমান। ১৯৮৮ সালে মুইভার প্রায় ২০০ সঙ্গীকে মেরে খাপলাং পৃথক দল গড়েন। তারপর থেকে এনএসসিএনে চলছে ভাঙাগড়ার খেলা। ১৯৯৭ সালে বিস্তর প্রাণহানির পর, সু ও মুইভা ভারত সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি করেন। শুরু হয় শান্তি আলোচনা। খাপলাং অবশ্য এখনও মায়ানমারে থেকে লড়াই চালাচ্ছেন।