জরাসন্ধের পিতা রাজা বৃহদ্রথের বিয়ে হয়েছিল কাশীর রাজার যমজ দুই কন্যার সাথে। রাজা তার দুই স্ত্রীকেই সমান ভালোবাসতেন, কিন্তু কারো কোন সন্তান ছিলো না। ঋষি চন্দকৌশিক একবার তার কাছে এলো এবং একটি একটি মন্ত্র পড়া আম তাকে দিয়েছিলো বর হিসেবে, যে আম তার স্ত্রীদের খাওয়ালে তারা সন্তান জন্ম দিতে পারবে। বৃহদ্রথ আমটি দুই ভাগ করে দুই স্ত্রীকে খাওয়ালেন। এর ফলে দুই স্ত্রী অর্ধেক বাচ্চার জন্ম দিলো। রাজা রেগে গিয়ে অর্ধাংশ দুইটি বনে ফেলে দিতে নির্দেশ দিলেন। সেই বনে জরা নামক এক রাক্ষসী বসবাস করতো। সে দুইটি অর্ধাংশ দেখতে পেল এবং অর্ধাংশ দুইটি যুক্ত করে একটি পূর্ণ বাচ্চা বানালো। জরা বাচ্চাটিকে রাজার কাছে নিয়ে গেলো এবং ফেরত দিয়ে দিলো। জরা বাচ্চাটির দুইটি অংশ জুড়ে দিয়েছিলো, তাই বাচ্চাটির নাম রাখা হলো জরাসন্ধ।
চন্দকৌশিক ভবিষ্যতবানী করলেন যে, এই বাচ্চা বড় হয়ে মহান যোদ্ধা হবে এবং সে শিবের একজন ভক্ত হবে।
জরাসন্ধ (সংস্কৃত: जरासन्ध) ছিলেন মগধের রাজা। হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত অনুযায়ী তিনি ছিলেন বৃহদ্রথ রাজবংশধর। তার পিতা বৃহদ্রথ এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। জরাসন্ধ একজন মহাবীর ও মহারথী হিসেবে মহাভারতে চিহ্নিত হয়েছেন। তার সাথে যাদবদের শত্রুতা ছিলো। তিনি বহু রাজাকে নিজের কারাগারে আটক করে রেখেছিলেন যাদের তিনি বলি চড়ানোর পরিকল্পনাও করেছিলেন। তার প্রবল পরাক্রমের জন্য আর্যাবর্তের বহু রাজা তার প্রতি ভীত ছিল