গিয়াসউদ্দিন বলবনের প্রকৃত নাম বাহাউদ্দিন
গিয়াসউদ্দিন বলবন (reigned: 1266–86) (উর্দু: غیاث الدین بلبن) ছিলেন দিল্লির ৯ম মামলুক সুলতান। তিনি প্রথমে নাসিরউদ্দিন মাহমুদের উজির ছিলেন। নাসিরউদ্দিন নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যাওয়ার পর বলবন মসনদে বসেন।
দিল্লির মেহরাওলিতে বলবনের মাজারের কবর
বলবন ১২৬৬ থেকে ১২৮৬ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত শাসন করেছেন। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র মুহাম্মদ খান মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। আরেকপুত্র নাসিরউদ্দিন বুগরা খান বাংলার শাসক হিসেবে থাকা পছন্দ করতেন। তাই বলবন তার পৌত্র কায়খসরুকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন। তবে তার মৃত্যুর পর অভিজাত ব্যক্তিরা কায়কোবাদকে সুলতান মনোনীত করে।[১]
তাঁর পূর্বনাম ছিল বাহাউদ্দিন। তিনি তুর্কি ইলবেরি বংশের ছিলেন। শৈশবে তিনি মোঙ্গলদের হাতে বন্দি হন। পরে মোঙ্গলদের কাছ থেকে জামালউদ্দিন ক্রয় করে ইলতুৎমিস-এর কাছে বিক্রয় করেন। অল্পদিনেই তিনি যুদ্ধ এবং রাজনীতিতে বিশেষ পারদর্শী হয়ে উঠেন। এই সূত্রে তিনি ইলতুৎমিস-এর চল্লিশজন ক্রীতদাসের দলের অন্যতম সদস্যে পরিণত হন। সুলতানা রাজিয়া (১২৩৬-৪০খ্রিষ্টাব্দ)-র শাসনামলে তিনি আমির-ই-শিকার' পদ লাভ করেন। কিন্তু রাজিয়ার পতনের সময় তিনি তুর্কি আমিরদের পক্ষালম্বন করেছিলেন। এই কারণে বাহরাম শাহ্ (১২৪০-৪২ খ্রিষ্টাব্দ) ক্ষমতা লাভের পর, তাঁকে পাঞ্জাবের অন্তর্গত গুরগাঁ জেলার জায়গির দান করেছিলেন।
১২৪২ খ্রিষ্টাব্দে আমিররা বাহরাম শাহ্কে অপসারিত করে, ইলতুৎমিস-এর অপর পুত্র আলাউদ্দিন মাসুদ শাহকে সিংহাসনে বসান। গিয়াসউদ্দিন বিষয়টি সহজভাবে নেন নি। তিন ইলতুৎমিস-এর অপর পুত্র নাসিরউদ্দিন মাহমুদ-এর সাথে ষড়যন্ত্র করে, ১২৪৪ খ্রিষ্টাব্দে মাসুদ শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং নাসিরুদ্দিন মাহমুদকে দিল্লীর সিংহাসনে বসান।