এ আইন নিয়ে প্রথম থেকে সর্বস্তরের মহলে তীব্র সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। সম্পাদক পরিষদ এ আইনটি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আইনের ৮,২১,২৫,২৮,২৯,৩১,৩২ ও ৪৩ ধারা নিয়ে আপত্তি জানায়। সাংবাদিক ইউনিয়নও আইনটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।[৪] যদিও আইনমন্ত্রী এ আপত্তিগুলোকে যৌক্তিক বলে জানিয়ে তা সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছিলেন[৭] কিন্তু সংসদে কন্ঠভোটে পাস করা এ আইনে কার্যত কোনো পরিবর্তনই আসে নি।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত তথ্য জানার আইনি অধিকার থাকলেও ডিজিটাল আইন পাসের ফলে এ সুবিধা সর্বোতভাবে রহিত হয়ে যাবে এবং এর ফলে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন সুরক্ষিত হয়ে এরূপ অপরাধের অধিকতর বিস্তার ঘটবে বলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান অভিমত প্রকাশ করেন।[৮] ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ এ আইনের খসড়া মন্ত্রীসভায় উঠার পরপরই আমি গুপ্তচর হ্যাশট্যাগ দিয়ে অসংখ্য সাংবাদিক সামাজিক গণমাধ্যমে প্রতিবাদ করেন।[৯]
মে ২০২০ সালে সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট, লেখকদের বিরুদ্ধে উক্ত আইনে মামলা এবং মামলার পরপর তাঁদের গ্রেপ্তার, কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্পাদক পরিষদের পক্ষে পরিষদের সভাপতি দ্যা ডেইলি স্টার এর সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং পরিষদের মহাসচিব বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বিবৃতি প্রকাশ করে।