বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ একটি বার্ষিক উদ্যাপন যা প্রতি বছর পৃথিবীর ১২০টিরও বেশি দেশে ১ থেকে ৭ আগস্ট পালন করা হয়। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোয় উৎসাহ দিতে এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে এই কর্মসূচি। ডব্লিউবিডব্লিউ (WBW) ওয়েবসাইটের ২৬ আগস্ট,২০১০ এর তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ৭৯ টি দেশের ৪৮৮ টি সংস্থা এবং ৪০৬,৬২০ জন অংশগ্রহণকারী বিশ্বব্যাপী ৫৪০ টি কর্মসূচির আয়োজন করে। সম্পূর্ণ তালিকার জন্য WBW প্রতিশ্রুতি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ নভেম্বর ২০১০ তারিখে দেখুন।
‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৮’ এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘মায়ের দুধ পান সুস্থ জীবনের বুনিয়াদ’। নবজাতকের জন্য মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই, বিকল্প নেই শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশেও। মায়ের দুধের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২০ এর প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যকর ধরিত্রীর জন্য মায়ের দুধকে সমর্থন করুন’।
ইতিহাস
১৯৯২ সালে সর্বপ্রথম ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন (ডব্লিউএবিএ) "বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ" পালন করেছিল এবং বর্তমানে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং তাদের অন্যান্য সহযোগী ব্যক্তি, সংস্থা ও সরকার দ্বারা ১২০টিরও বেশি দেশে এটি পালন করা হয়। বিশ্বব্যাপী বুকের দুধ খাওয়ানোর চর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সর্বত্র স্তন্যদানের জন্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউএবিএ গঠিত হয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং মার্কিন শিশুরোগবিদ্যা আকাদেমি(এএপি) বুকের দুধ খাওয়ানোর উপর খুব গুরুত্ব আরোপ করে, কারণ এটি মা আর শিশু উভয়ের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। উভয়ই ছ’মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে এবং এর পর দু’বছর বা তারও বেশি বয়স পর্যন্ত পরিপূরক খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত ভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়। শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় প্রায় তিন দশক আগে, যার ভিত্তি "ইনোসেন্টি ডিক্লারেশন" (Innocenti Declaration) নামের একটি স্মারকলিপি। এটি তৈরি করে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ১৯৯০ সালে সে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে বিভিন্ন দেশের সরকার, ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচওসহ অন্যান্য সংস্থা। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ এই ইনোসেন্টি ঘোষণার স্মরণার্থে উদ্যাপিত হয়।