প্রথমে আসি করনারি হার্ট ডিজিজে বা হার্টের নিজস্ব রক্তনালির যে সমস্যা তাকে করনারি হার্ট ডিজিজ বলে। করনারি হার্ট ডিজিজে সাধারণত বুকে চাপ চাপ লাগে, অজ্ঞান হয়ে যায়, হঠাৎ করে মারা যায়, এ ধরনের সমস্যা নিয়ে সাধারণত বেশি আসে। কিছু দূর চলাফেরা করলেই হাঁপিয়ে ওঠে বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে গেলেই দেখা যায় হাঁপিয়ে যাচ্ছে, পারছে না, বুকে ব্যথা করছে, সঙ্গে ঘাম হচ্ছে বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে সাধারণত। বুকের ব্যথার সঙ্গে সাধারণত করনারি হার্ট ডিজিজে শ্বাসকষ্টটা খুব প্রচলিত। ঘেমে যায়। মনে হবে পাথর বা হাতি বসে রয়েছে বুকের ওপর।
এই ধরনের সমস্যা দেখলে নন ইন্টারইনভেসিভ পরীক্ষা রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করি প্রথমে রোগ নির্ণয় করার। ইসিজি, ইকো কার্ডিওগ্রাম, ট্রেডমিল বা এক্সারসাইস টলারেন্স টেস্ট, এ ধরনের কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে আমরা প্রথমে স্ক্রিন করার চেষ্টা করি যে এটি কি আসলেই হার্টের অসুখ, না কি অন্য কোনো বিষয় থেকে মাংসপেশি বা হাড়ের ব্যথা হচ্ছে কি না। এরপর পরীক্ষা করে যখন নিশ্চিত হই যে কার্ডিয়াক পেইন, রক্তনালির ব্লকটা কতটুকু খারাপ সেটি দেখতে। দুটো জিনিস। একটি হলো সমাধান করা সম্ভব। আরেকটি হলো সমাধান করা ভালো। হার্টের রক্তনালি হয়তো ব্লক, এটি কীভাবে সমাধান করা যাবে সেটি ভাবতে হবে। এটি কি কেবল ওষুধ খেয়ে সম্ভব, নাকি রিং পরিয়ে সম্ভব, না কি শুধু সার্জারি করিয়ে সম্ভব- এই তিনটির মধ্যে কোনটি সমাধানের জন্য ভালো। আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি নিষ্কৃতি দেবে, ভালো রাখবে কোন সমাধানটি, সেটি দেখতে হবে।