আসকি সংকেতমালায় মোট সংকেত সংখ্যা - ২৫৬টি।
অ্যাস্কি বা ASCII (/ˈæskiː/ (এই শব্দ সম্পর্কেশুনুন) ASS-kee),[১]:৬ এর পূর্ণরূপ হল American Standard Code for Information Interchange। ইন্টারনেট অ্যাসাইন্ড নাম্বারস অথোরিটি (আইএএনএ) ক্যারেক্টার এনকোডিং-এর জন্য US-ASCII নামটি পছন্দ করে।[২]কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের টেলিযোগাযোগের যন্ত্র সহ অন্যান যেসব যন্ত্রে বর্ণভিত্তিক (Text Based) ইন্টারফেস দরকার হয় তাতে ব্যবহারের জন্য ইংরেজি ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা একধরনের character encoding এই অ্যাস্কি। ইংরেজি ছাড়াও অন্যান ভাষার সুবিধা দিতে পারে যেসব আধুনিক character encoding তাদেরও অনেকে ঐতিহাসিক দিক থেকে অ্যাস্কির সাথে কোনভাবে সম্পর্কিত।
অ্যাস্কি নিয়ে প্রথম কাজ শুরু হয় ১৯৬০ সালে, ১৯৬৩ সালে প্রথম সংষ্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ তে বড়সড় ধরনের পরিমার্জন করা হয়। সর্বশেষ সংষ্করণ প্রকাশিত হয়েছে ১৯৮৬ সালে। সর্বশেষ প্রকাশিত সংষ্করণ অনুযায়ী অ্যাস্কি কোডের ধারণক্ষমতা ১২৮ টি বর্ণ, তার মধ্যে ৯৫টি ছাপারযোগ্য বর্ণ এবং ৩৩টি নিয়ন্ত্রণ সংকেত (control characters) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য সকল বর্ণ প্রকাশকারী কম্পিউটার কোডের মত অ্যাস্কি কোডেও নির্দিষ্ট কিছু বিট প্যাটার্নের মাধ্যমে একটি করে বর্ণ প্রকাশ করা হয়। অ্যাস্কি কোডে প্রতিটি বর্ণ ৭ বিট দীর্ঘ, কাজেই সর্বমোট ১২৮টি বর্ণ প্রকাশ করা সম্ভব। কম্পিউটারে (বা অন্যকোন যন্ত্রে) একএকটি বর্ণ সংরক্ষণ করা হয় ০ থেকে ১২৭(দশমিক) পর্যন্ত সংখ্যা হিসেবে । মানুষের লৈখিক ভাষার একটি বর্নকে প্রকাশ করার জন্য যেই অক্ষর গুলো ব্যবহৃত হয় তার একটি চিত্রও সংরক্ষণ করা হয়, একে বলে গ্লিফ (glyph)। কম্পিউটারের মনিটরে বা অন্যকোন যন্ত্রের পর্দায় দেখানর সময় ০ থেকে ১২৭ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর সাথে সম্পৃক্ত গ্লিফটিকে দেখান হয়। অ্যাস্কি কোডে ০ থেকে ৩১ পর্যন্ত এবং ১২৭- এই সংখ্যাগুলো ব্যবহৃত হয় নিয়ন্ত্রণ সংকেত হিসেবে। অবশিষ্ট ৩২ থেকে ১২৬ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো ব্যবহৃত হয় ছাপারযোগ্য বর্ণ সমূহের জন্য।