পিঁপড়েদের উৎপাদিত অ্যাসিডকে ফর্মিক অ্যাসিড বলে । নাম আসে লাতিন শব্দ ফর পিঁড়ির, যা ' ফরনিকা ' । কেমিক্যালি এটি একটি সাধারণ কার্বলিক এসিড । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সাধারণ প্রজাতির ব্ল্যাক পিন্ট হল ব্ল্যাক কার্পেন্টার পিঁপড়া, যা তার চোয়াল দিয়ে অল্প পরিমাণে ফর্মিক অ্যাসিড সরবরাহ করে, যখন সে কামড়ায় ।
পিঁপড়া সম্পর্কে অজানা কয়েকটি তথ্যঃ
১.বিশ্বে পিঁপড়ার প্রায় ১২ হাজার প্রজাতি রয়েছে।
২.এই প্রাণিটি তার শরীরের ওজনের চেয়েও ২০ গুণ বেশি ওজন বহন করতে পারে।
৩.পিঁপড়াদেরও একজন রাণী থাকে যার থেকে লক্ষাধিক বাচ্চা হয়।
৪. পিঁপড়ার কান নেই,তাই মাটির কম্পন থেকেই শব্দের ব্যাপারটি বুঝে নেয়।
৫.পিঁপড়ার লড়াই শুরু হলে তা কতক্ষণ চলতে পারে ধারণা করুন তো?জানলে সত্যিই অবাক হবেন। কারণ পিঁপড়ার লড়াই মৃত্যু পর্যন্ত চলতে থাকে!
৬.পিঁপড়া সর্বদা একই রেখায় চলতে থাকে। চলার পথে প্রতিটি পিঁপড়াই এক ধরণের তরল পদার্থ (ফেরোমন) নির্গত করে,ফলে পিছনে থাকা পিঁপড়াগুলো সামনের গুলোকে অনুসরণ করতে পারে।
৭.রাণী পিঁপড়ার পাখা গজায়।
৮.পিঁপড়ার ফুসফুস নেই। শরীরে অনেক সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম ছিদ্র থাকে যার মাধ্যমে শরীরের ভিতর ও বাইরে অক্সিজেন চলাচল করে।
৯.সাধারণত কর্মী পিঁপড়ার জীবনকাল ১-৩ বছর,তবে রাণী পিঁপড়া ৩০ বছরেরও অধিক সময় পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
১০.যখন একটি পিঁপড়া মারা যায় তখন তার শরীর থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। ফলে অন্য পিঁপড়ারা সহজেই মৃত পিঁপড়া সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যায়।
১১.আবার নির্গত এই রাসায়নিক পদার্থ যদি অন্য পিঁপড়ার শরীরের লাগে তবে সেই পিঁপড়াও মারা যেতে পারে।
১২.মানুষ ও পিঁপড়ার মাঝে একস্থানে মিল পাওয়া যায়,তাহল উভয়েই খাদ্য মজুত করে রাখে।
১৩.পিপড়ার শরীরের গঠন এমন যে এটিকে উড়ন্ত উড়োজাহাজ থেকে ফেলে দিলেও সামান্যতম ব্যথা পাবে না।
১৪.পিঁপড়ারা ২৪ ঘন্টায় মাত্র ৮ মিনিট ঘুমায়।
১৫.এরা পানির তলদেশে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
১৬.পিঁপড়ের পেট দুটো,এর একটিতে নিজের জন্য খাদ্য জমা রাখে,অন্যটিতে অন্যের জন্য!
১৭.জানি এই কথাটি সত্য হলেও বিশ্বাস করা খুবই কঠিন হবে। কথাটি হচ্ছে বিশ্বে যত জনসংখ্যা রয়েছে তাদের ওজন আর সমস্ত পিঁপড়ার ওজন প্রায় সমান হবে।
১৮.ডাইনোসরের সময় থেকে পিঁপড়া আজও আছে।