দেশে মোট ৩১৪টি পাটকলের মধ্যে এখনো ৬৩টি পাটকল বন্ধ রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। গতকাল মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এই তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্য তানভীর ইমামের প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পাটকল সংস্থার (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন পাটকলের সংখ্যা ২৭টি। সম্প্রতি আরো ছয়টি পাটকল পূণঃগ্রহণ করায় মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩টি, যার মধ্যে সাতটি পাটকল বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৮১টি, যার মধ্যে ৫৬টি বন্ধ রয়েছে।
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ভারত সরকার বাংলাদেশের পাটপণ্যের ওপর আরোপিত অ্যান্টিডাম্পিং ডিউটি প্রত্যাহার না করায় এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কিছুটা ঋণাত্মক প্রভাব বাংলাদেশের পাটের বাজারে পড়েছে।
মন্ত্রী জানান, নতুন নতুন পাটজাত পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্যে নানা ধরনের গবেষণা চলছে। যেমন পাট থেকে ভিসকস, পাট পাতা থেকে পানীয়, পাট থেকে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প সোনালি ব্যাগ, পাটকাঠি থেকে চারকোল ও ডেনিম।
সরকারি দলের আহসান আদেলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাট দিয়ে তৈরি সোনালি ব্যাগের প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে বিজেএমসির তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন এক লাখ সোনালি ব্যাগ তৈরির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
সরকারি দলের আরেক সদস্য আবদুল আজিজের প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর গাজী জানান, গত অর্থবছরে দেশে ছয় লাখ ১৮ হাজার ৬৩২ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে।
দেশের পাট রপ্তানি হয় পাকিস্তান, ভারত, চীন, নেপাল, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল, এল সালভাদর, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, তিউনিসিয়া ও জার্মানিতে।