ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানো অনেক সহজ এবং নিরাপদ। তবে, এক্ষেত্রে খরচ অনেক বেশি পড়তে পারে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকগুলো তাদের এই সেবার জন্য ভিন্ন ভিন্ন হারে ফিজ নিয়ে থাকে। প্রতিবার অর্থ প্রেরণের জন্য তারা সাধারণত ১০ ডলার থেকে ৩২ ডলার পর্যন্ত ফিজ আদায় করে থাকে।
মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ
পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধু-বান্ধবের কাছে সর্বোচ্চ এক হাজার ডলার পর্যন্ত প্রেরণ করার ক্ষেত্রে অনলাইন মানি ট্রান্সফার কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করাটাই সাশ্রয়ী। এ রকম একটি কোম্পানি হলো Transferwise. স্বল্প অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে তাদের ফিজ ০-১৫ ডলার পর্যন্ত।
সেজন্য আপনাকে আগেভাগেই পরিকল্পনা করতে হবে। কারণ, অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং তার অনুমোদন পেতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে।
কোনো কোনো মানি ট্রান্সফার কোম্পানিতে আপনি নগদ অর্থ কিংবা EFPTOS ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, এসব ক্ষেত্রে সাধারণত অনলাইনে অর্থ প্রেরণের চেয়ে বেশি ফিজ লাগে।
ইন্টারন্যাশনাল মানি অর্ডার
আপনি আপনার ব্যাংক থেকে ইন্টারন্যাশনাল গ্যারান্টিড চেক সংগ্রহ করতে পারেন এবং তা ডাকযোগে বিদেশে পাঠাতে পারেন। আপনার পরিবারের সদস্য বা বন্ধু তখন তা তাদের ব্যাংকে জমা দিয়ে এই অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। আগেরগুলোর তুলনায় এই পদ্ধতিটি অনেক ধীরগতির।
বিনিময় হার দেখুন
জরুরি ভিত্তিতে যদি টাকা না পাঠান সেক্ষেত্রে পাঠানোর আগে অর্থ বিনিময় হার (ডলার রেট) দেখে নিন।
অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের রিজিওনাল কমিশনার ফর ভিক্টোরিয়া ওয়ারেন ডে বলেন, “আপনি অনেকগুলো বিকল্প পাবেন, তবে প্রথমে ভাল বিনিময় হার দেখে নিন।”
নিজে খোঁজ নিন
মানি ট্রান্সফার কোম্পানি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভাল সুনাম আছে এমন একটি কোম্পানি বেছে নিন। কোম্পানিটি বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা দেখতে আপনি নিম্নবর্ণিত ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করতে পারেন: SendMoneyPacific, SendMoneyAsia এবং Remittance Prices Worldwide
মানি ট্রান্সফার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করুন
মানি ট্রান্সফার কোম্পানি কিংবা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পর এ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করুন। ট্রানজেকশন নম্বর, টাকার পরিমাণ, দিন-ক্ষণ ইত্যাদি।
যদি কোনো সমস্যার কারণে গ্রহীতা টাকা তুলতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য আপনি সরাসরি সেই কোম্পানি কিংবা ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং সে-সমস্ত তথ্য প্রদান করতে পারেন।