গ্রিক বিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস প্রথম ২৪,০০ বছর আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন। এরপর বিশ্বব্যাপি ইনফ্লুয়েঞ্জা ঘটিত নানা মহামারী ঘটার প্রমাণ রয়েছে। সবচাইতে ভয়ঙ্কর মহামারী হয়েছিল ১৯১৮-১৯১৯ সালের দিকে। তখন বিশ্বব্যাপি সংঘটিত এই মহামারীর নাম দেওয়া হয় "স্প্যানিশ ফ্লু"। এই একবছরে প্রায় ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটে। এর জন্য দায়ী ছিল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টাইপ এ (Type A, H1N1)। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা (Type A H2N2) ১৯৫৭-১৯৫৮ এর দিকে এশিয়াতে একটি মহামারীতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ মানুষ মারা যায়। এই মহামারীর নাম ছিল "এশীয় ফ্লু"। ১৯৬৮-১৯৬৯ এ H3N2 ঘটিত মহামারীতে ৭.৫ থেকে ১০ লক্ষের মত মানুষ মারা যায়।
নতুন সহস্রাব্দে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের নতুন যে ধরন দেখা যায় তা হল H5N1, যা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামে ব্যাপক পরিচিত পায়। মানুষের তেমন একটা ক্ষতি না করলেও পাখি হতে উদ্ভব হওয়ায় কারণে ব্যাপক সংখ্যাক মুরগী এই সময় হত্যা করা হয়। এতে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অতি সম্প্রতি (এপ্রিল ২০০৯) মেক্সিকোতে শূকর হতে উদ্ভব হওয়া সোয়াইন ফ্লুতে বিশ্বব্যাপি কয়েকটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এটি পুরোনো H1N1 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যার বিরুদ্ধে মানুষের কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ভাইরাসের উদ্ভব নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তিত।